আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।১। কেউ যদি কোন একটি পশুকে কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট করেন, এরপর কোন অবহেলা না করা সত্ত্বেও সে পশুটি মারা যায় সেক্ষেত্রে আপনার উপর কোন কিছু বর্তাবে না।
ইবনে কুদামা (রহঃ) ‘আল-মুগনি’ গ্রন্থে (৯/৩৫৩) বলেন:
“যদি কোন অবহেলা ব্যতিরেকে তার হাত থেকে কোরবানির পশুটি ধ্বংস হয়ে যায় কিংবা চুরি হয়ে যায় কিংবা হারিয়ে যায় সেক্ষেত্রে তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না। কেননা পশুটি তার হাতে আমানত। যদি তার অবহেলা না থাকে সেক্ষেত্রে গচ্ছিত-রাখা সম্পদের মত তাকে এটার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না”।[সমাপ্ত] [আরও দেখুন: মিরদাওয়ি এর ‘আল-ইনসাফ’ (৪/৭১)]
২। যদি সে ব্যক্তি নিজে এটাকে ধ্বংস করে থাকে কিংবা অন্য কেউ ধ্বংস করে থাকে তাহলে যে ব্যক্তি ধ্বংসের কারণ সে এর মূল্য কিংবা সমমানের পশু ক্ষতিপূরণ দিবে।
ইবনে কুদামা (রহঃ) ‘আল-মুগনি’ গ্রন্থে (৯/৩৫২) বলেন:
“যদি কেউ কোন ওয়াজিব কোরবানির পশু ধ্বংস করে তাহলে তাকে মূল্য জরিমানা দিতে হবে। কেননা পশু এমন শ্রেণীর যেটার মূল্য-অনুমানযোগ্য। যেদিন পশুটিকে ধ্বংস করেছে সেই দিনের মূল্য ধর্তব্য হবে”।
এ বিষয়টি যখন পরিষ্কার হল: সুতরাং আপনার উপর কোন কিছু আবশ্যক নয়। কেননা আপনি নিজে কোরবানির পশুটি ধ্বংস করেননি এবং এটির সংরক্ষণে কোন অবহেলা করেননি।
পরবর্তীতে আপনি কোরবানির নিয়তে যে ভেড়া জবাই করেছেন সেটা ভাল করেছেন। আপনি ইনশাআল্লাহ্ এর জন্য সওয়াব পাবেন। কিন্তু, আপনার উপর মরে যাওয়া পশুর বদলে অন্য কোন পশু জবাই করা আবশ্যক ছিল না। কিন্তু আপনি যেহেতু করেই ফেলেছেন সেটি নফল এবং আপনার পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সওয়াবের কাজ হয়েছে, ইনশাআল্লাহ্।
আপনার কোরবানির পশু মরে যাওয়া এমন কিছু নির্দেশ করছে না যে, আপনি বঞ্চিত কিংবা এটা আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আপনার জন্য কোন শাস্তি। বরং কে জানে হতে পারে এটি আপনার জন্য পরীক্ষা; যে পরীক্ষার জন্য আপনি সওয়াব পাবেন। নেক কাজ করার জন্য আপনি আগে যে চেষ্টা করেছেন এর সাথে যোগ হয়েছে আল্লাহ্র নির্ধারিত তাকদির অনুযায়ী আপনি মরে যাওয়া পশুটির বদলে অন্য একটি পশু কোরবানি করেছেন। আল্লাহ্র চাহে তো এ আমলগুলো আপনার অতিরিক্ত নেকির কাজ।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন:
“কোন মানুষ যদি সুদৃঢ় সংকল্পের সাথে তার সাধ্যে যা কিছু করার ক্ষমতা রয়েছে তা করে তাহলে শরিয়তের দৃষ্টিতে সে ব্যক্তি পরিপূর্ণ কার্য সম্পাদনকারী ব্যক্তির সমান: পরিপূর্ণ কার্য সম্পাদনকারীর সওয়াব কিংবা শাস্তি সে ব্যক্তি পাবে; এমনকি যা তার সাধ্যের বাইরে এর জন্যেও সে ব্যক্তি সওয়াব কিংবা শাস্তি পাবে। উদাহরণস্বরূপ নেক কাজে পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতাকারী ব্যক্তিবর্গ”।[মাজমুউল ফাতাওয়া (১০/৭২২-৭২৩), আরও জানতে দেখুন: মাজমুউল ফাতাওয়া (২৩/২৩৬)]
আমরা আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আপনার পক্ষ থেকে এবং সকল মুসলমানের পক্ষ থেকে কবুল করে নেন।
আল্লাহ্ই ভাল জানেন।