আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
কোনো ব্যক্তি যদি এসে নামাযে এমন সময়ে ঢুকে যখন ইমাম রুকু থেকে দণ্ডায়মান অবস্থায় আছেন, কিন্তু তিনি ‘আল্লাহু আকবার’ বলেননি, তখন কি এটি তার রাকাত হিসেবে গণ্য হবে? কেন?
ফকীহরা এ ব্যাপারে একমত যে কেউ যদি ইমামকে রুকুতে পায় তাহলে সে রাকাত পেয়েছে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে রুকু পেল, সে রাকাত পেল।”
আলহামদু লিল্লাহ।.
ইমাম যখন রুকুতে, তখন মুক্তাদির নামাযে প্রবেশের তিনটি অবস্থা:
১. মুক্তাদি দাঁড়ানো অবস্থায় তাকবীরে তাহরীমা বলা, তারপর রুকু দেয়া এবং তখনও ইমাম রুকুতে থাকা। এ অবস্থায় সে ইমামের সাথে রাকাত পেয়েছে বলে গণ্য হবে।
২. ইমাম রুকুতে থাকা অবস্থায় সে তাকবীরে তাহরীমা বলেছে, কিন্তু ইমাম রুকু থেকে ওঠার পর সে রুকু দিয়েছে, এ অবস্থায় সে ইমামের সাথে রাকাত পায়নি বলে গণ্য হবে এবং তাকে এই রাকাত নিজে পড়তে হবে।
৩. তাকবীরে তাহরীমা ছাড়াই সে সরাসরি রুকুতে চলে যাওয়া। এমন অবস্থায় তার নামায বাতিল হবে। কারণ সে নামাযের অন্যতম একটি রোকন তথা তাকবীরে তাহরীমা ছেড়ে দিয়েছে।
ফকীহরা একমত যে ইমামকে যে ব্যক্তি রুকুতে পাবে, সে রাকাত পেয়েছে বলে গণ্য হবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রুকু পেল, সে রাকাত পেল।”[হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেন এবং শাইখ আলবানী ‘ইরওয়াউল গালীল’ (৪৯৬) বইয়ে এটিকে সহীহ বলে গণ্য করেন]
তিনি বলেন (পৃ. ২৬২): “একদল সাহাবী হাদীসটির উপর আমল করেছেন, যা এই হাদীসটিকে শক্তিশালী করে। তারা হলেন:
এক: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ। তিনি বলেন: “যে ব্যক্তি ইমামকে রুকু অবস্থায় পায়নি, সে রাকাতটি পায়নি। ...” এর সনদ সহীহ।
দুই: আব্দুল্লাহ ইবনে উমর। তিনি বলেন: “আপনি যদি এসে দেখেন ইমাম রুকুতে আছেন, তাহলে ইমাম ওঠার আগে আপনার দুই হাত হাঁটুতে রাখুন, তাহলেই আপনি রাকাত পেয়ে গেলেন।” এটির সনদ সহীহ।
তিন: যাইদ ইবনু সাবিত। তিনি বলতেন: “ইমাম মাথা তোলার আগে যে ব্যক্তি (রুকু দিয়ে) রাকাত ধরেছে, সে রাকাত পেয়েছে।” এর সনদ সহীহ ...”[সমাপ্ত] দেখুন: আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যা আল-কুয়াইতিয়্যাহ (২৩/১৩৩) এবং আল-মুগনী (১/২৯৮)।
আল্লাহ সর্বজ্ঞ।