আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।কিছু কিছু কারণে কোন কোন আলেম দুর্বল হাদিস উল্লেখ করে থাকেন; যেমন-
-হাদিসটি ফজিলত সম্পর্কিত হওয়া। আকিদা-বিশ্বাস কিংবা হালাল-হারাম সম্পর্কিত না হওয়া। অনেক আলেম ফজিলত সম্পর্কিত মাসয়ালাতে দুর্বল হাদিসের উপর আমল করাকে জায়েয মনে করেন। এ বিষয়ে 44877 নং প্রশ্নোত্তরে বিষদ আলোচনা করা হয়েছে।
-কোন আলেম হাদিসটি উল্লেখ করেন ও সেটি দিয়ে দলিল পেশ করেন যেহেতু হাদিসটি সংশ্লিষ্ট আলেমের নিকট সহিহ; যদিও অন্যদের দৃষ্টিতে সেটি দুর্বল।
-দুর্বল হাদিসটি উল্লেখ করে সেটি দিয়ে দলিল পেশ করার মাধ্যমে অন্য একটি দুর্বল হাদিসের ভাবার্থকে শক্তিশালী করা। উদ্দেশ্য হচ্ছে- দুটি দুর্বল সনদের হাদিস উল্লেখ করে একটির মাধ্যমে অপরটিকে শক্তিশালী করা।
-দুর্বল হাদিসটির ভাবার্থ যদি অন্য সাব্যস্ত হাদিসের ভাবার্থের সাথে মিলে যায় যে সাব্যস্ত হাদিসটিও সে আলেম উল্লেখ করেছেন। তিনি নির্ভর করেন সাব্যস্ত হাদিসটির উপরে; দুর্বলটির উপরে নয়। তবে দুর্বল হাদিসটি উল্লেখ করেন সাব্যস্ত হাদিসটির শাহেদ (সাক্ষী) হিসেবে। বিশেষতঃ সে সাব্যস্ত হাদিসটি যখন ‘হাসান’স্তরের হাদিস হয়; সহিহ পর্যায়ে না পৌঁছে।
আমরা জানি না প্রশ্নকারী কোন হাদিসটি সম্পর্কে বলতে চাচ্ছেন তাই আমরা আশা করছি উল্লেখিত কোন একটি কারণে ইবনুল জাওযি হাদিসটি উল্লেখ করেছেন।
মোদ্দাকথা, কোন আলেম যে দলিলগুলো উল্লেখ করেন বা যে হাদিসগুলো উল্লেখ করেন সে ক্ষেত্রে তিনি মুজতাহিদ। তিনি যদি সঠিক দলিল পেশ করেন তাহলে তাঁর জন্য দুইটি সওয়াব; আর যদি ভুল করেন তাতেও তিনি একটি সওয়াব পাবেন। যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যদি কোন বিচারক ইজতিহাদ করে বিচার করেন এবং সঠিক ফয়সালা দেন তাহলে তিনি দুইটি সওয়াব পাবেন। আর যদি তিনি ভুল করেন তাহলেও তিনি একটি সওয়াব পাবেন”[সহিহ বুখারী (৭৩৫২) ও সহিহ মুসলিম (১৭১৬)]
আল্লাহই ভাল জানেন।