আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
জনৈক ব্যক্তির কোন পণ্য-সামগ্রী নেই। সে একজন বড় ব্যবসায়ী থেকে আতরের শিশি প্রতিটি নির্ধারিত মূল্যে খরিদ করে। এরপর সে শিশি বেশি দামে বিক্রি করে। সন্ধ্যায় যা বিক্রি হয়েছে ব্যবসায়ীকে সেটার পাওনা পরিশোধ করে এবং অতিরিক্ত যা থাকে সেটা নিজে রেখে দেয়।
আলহামদু লিল্লাহ।.
এ লেনদেনের দুটো রূপ হতে পারে:
১। ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বাকীতে আতরের শিশিগুলো খরিদ করা। এরপর বেশি দামে শিশিগুলো বিক্রি করা। এই চুক্তিতে যে, সে মূল্য রিসিভ করার পর ব্যবসায়ীর ঋণ পরিশোধ করবে। এ লেনদেনে কোন অসুবিধা নেই। তবে শর্ত হল—পণ্যটা রিসিভ করতে হবে এবং বিক্রি করার আগে ব্যবসায়ীর স্থান থেকে সেটাকে স্থানান্তর করতে হবে। যদি পণ্য সামগ্রী ব্যবসায়ীর গোডাউনে থেকে যায় তাহলে বেচাবিক্রির পাকাপোক্ত চুক্তি করা জায়েয হবে না। এর দলিল হচ্ছে যায়েদ বিন সাবেত (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম পণ্য-সামগ্রী যেখানে কেনা হয়েছে সেখানে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন; যতক্ষণ না ব্যবসায়ীরা পণ্যগুলো গ্রহণ করে নিজ নিজ বাহনে নিয়ে আসে।”[সুনানে আবু দাউদ (৩৪৯৯), আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন]
সারকথা হল: যথাযথ নিয়মে পণ্যটির মালিক হওয়া আবশ্যক; যদি মূল্য পরিশোধ না করে; বরং বাকীতে লেনদেন হয় তাতে কোন অসুবিধা নেই। যদি পণ্যটি ধ্বংস হয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায়… তাহলে দায়ভার এই বিক্রেতার উপর। মূল বিক্রেতা তার কাছে যে দামে বিক্রি করেছে সেটা পাবে।
২। এই ব্যক্তি মূল ব্যবসায়ীর এজেন্ট হিসেবে কাজ করা। ব্যবসায়ীর সাথে এই মর্মে চুক্তিবদ্ধ হওয়া যে, সে তার পণ্যের মার্কেটিং করবে এই শর্তে যে, সে যদি নির্ধারিত মূল্যের বেশি দিয়ে বিক্রি করতে পারে তাহলে অতিরিক্তটা তার। লেনদেনের এ রূপটিও জায়েয। এ রূপের ক্ষেত্রে পণ্যটির মালিক হওয়া ও বিক্রি করার আগে রিসিভ করা আবশ্যকীয় নয়। কেননা সে পণ্যের মালিকের এজেন্ট মাত্র।
ইবনে কুদামা (রহঃ) ‘আল-মুগনি’ গ্রন্থে (৫/৮৬) বলেন: যদি কেউ বলে: আমার এ কাপড়টি দশ (দিনার) দিয়ে বিক্রি কর। যদি দশের বেশি দিয়ে বিক্রি করতে পার তাহলে সেটা তোমার। এ লেনদেন শুদ্ধ হবে এবং ঐ ব্যক্তি অতিরিক্ত অর্থটার পাওনাদার হবে। শাফেয়ি বলেছেন: শুদ্ধ হবে না।
এ লেনদেন শুদ্ধ হওয়ার প্রমাণ হচ্ছে—ইবনে আব্বাস (রাঃ) এতে কোন অসুবিধা আছে মনে করতেন না। আর যেহেতু এ ব্যক্তি তার সম্পদে তার অনুমতি সাপেক্ষে হস্তক্ষেপ করবে। তাই তার জন্য এর থেকে লাভ করার শর্ত করা শুদ্ধ। যেমনটি শুদ্ধ মুদারাবা ব্যবসায়ী ও বর্গাচাষের শ্রমিক কর্তৃক।[সমাপ্ত]
আর যদি ব্যবসায়ীর সাথে এ মর্মে চুক্তি না হয় যে, বেশি দামে বিক্রি করলে সেটা তার তাহলে বর্ধিতাংশ ব্যবসায়ী পাবে। এ ব্যক্তি পারিশ্রমিক কিংবা চুক্তিকৃত পারসেন্টিজ ছাড়া আর কিছু পাবে না।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।