আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আমি ‘কুযা’ সম্পর্কে যা কিছু পড়েছি তাতে দেখলাম সব উত্তরে বলা হয়েছে ‘মাথার কিছু অংশের চুল কামানো, আর কিছু অংশ রেখে দেওয়া হচ্ছে- ‘কুযা’। এর মানে কি মাথার কিছু অংশের চুল ছোট করে কিছু অংশ রেখে দিলে, যা স্পষ্টভাবে চোখে পড়ার মত, যেটা কুযার মতই; সেটা কুযা হিসেবে বিবেচিত হবে না? যেমন- কেউ একজন মাথার সাইডের চুলগুলো ব্যাপকভাবে ছোট করল যাতে করে চুল দৈর্ঘ্য ১ সেমিঃ হয়। আর সামনের চুলগুলো ৭/৮ সেমিঃ রেখে দিল! যেহেতু এটা চুল কামানো নয়; বরং চুল ছোট করা– তাই কি এটা ‘কুযা’ এর মধ্যে পড়বে না?
আলহামদু লিল্লাহ।.
হ্যাঁ, ‘কুযা’ হচ্ছে- মাথার কিছু অংশের চুল কামানো এবং কিছু অংশের চুল রেখে দেওয়া।
আর মাথার কিছু অংশের চুল ছোট করা, যেমন সাইড থেকে কেটে মাঝখানের গুলো রেখে দেওয়া– এটি কুযা এর সংজ্ঞার মধ্যে পড়বে না। কিন্তু, যদি অনেক বেশি ছোট করে ফেলা হয় তাহলে তা করাও নিষিদ্ধ। কেননা সেটা কুযা এর মত।
আর যেহেতু এভাবে চুল কাটা বেদ্বীন ও বিধর্মীদের বৈশিষ্ট্য; কোন রুচিশীল, সুষ্ঠ চরিত্রের মানুষের বৈশিষ্ট্য নয়। তাই কোন মুসলামানের এ শ্রেণীর লোকেদর সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করা উচিত নয়।
এ প্রশ্নে যা জানতে চাওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে আমরা শাইখ আব্দুর রহমান আল-বার্রাকের কাছে প্রশ্ন পেশ করেছিলাম, জবাবে তিনি বলেন: এটি কুযা না হলেও কুযার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
এ ধরণের চুল কাটার কোন কোন স্টাইলে কাফেরদের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে, যে সব স্টাইল মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশ করেছে।[সমাপ্ত]
ইতিপূর্বে 110209 নং প্রশ্নোত্তরে এ বিষয়ে আরও সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।