Islam QA ওয়েবসাইটের জন্য দান করুন

আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্‌ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।

হারাম মাসসমূহে শিকার করা কি হারাম?

21-10-2014

প্রশ্ন 97216

হারাম মাসসমূহে শিকার করা কি হারাম?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। হারাম মাসগুলো হচ্ছে- রজব, যিলক্বদ, যিলহজ্জ ও মহররম। আয়াতে কারীমাতে এ মাসগুলোকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। (আয়াতের অনুবাদ হচ্ছে)“নিশ্চয় আল্লাহর নিকট, লওহে মাহফুজে (বছরে) মাসের সংখ্যা বারটিআসমানসমূহ ও পৃথিবীসৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি হারাম (সম্মানিত)। এটাই সরল বিধান।সুতরাং এ মাসগুলোতে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করো না।”[সূরা তওবা, আয়াত: ৩৬]এ মাসগুলোতে শিকার করতে কোন বাধা নেই। তবে শিকারের নিষিদ্ধতা দুইটি বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত: এক:

হজ্জ বা উমরার ইহরাম বাঁধা। কারণ আল্লাহ তাআলা বলছেন (ভাবানুবাদ হচ্ছে):“হে ঈমানদারগণ ইহরাম অবস্থায় শিকার করো না। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছাকৃত শিকার করে, তাকে এর সমতুল্য এক পশু বদলা দিতে হবে। এর ফয়সালা তোমাদের মধ্যে থেকে দুজন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি করবে। আর এ হাদী কাবায় পাঠাতে হবে। অথবা এ জেনায়েতের কাফফরা স্বরূপ কয়েকজন মিসকীনকে খানা খাওয়াতে হবে। অথবা সেই পরিমাণে রোযা রাখতে হবে। যাতে করে সে ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের পরিনাম ভোগ করতে পারে। যা হয়ে গেছেআল্লাহ তা মাফকরে দিয়েছেন। যে ব্যক্তি পুনরায় এ কান্ড করবেআল্লাহ তার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিবেন।আল্লাহ পরাক্রান্ত,প্রতিশোধ গ্রহণে সক্ষম।”[সূরা আল মায়েদা, আয়াত: ৯৫]

ইবনে কাছীর (রহঃ) বলেন: এটি ইহরাম অবস্থায় শিকার নিষিদ্ধের ঘোষণা ও সে অবস্থার নিষেধাজ্ঞা। সমাপ্ত [তাফসিরে ইবনে কাছীর (২/৯৯)]

দুই:

হারামের সীমানার মধ্যে শিকার করা। এ প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদিসগুলোর ভিত্তিতে হারামের সীমানা বলতে মক্কা ও মদিনা উদ্দেশ্য:

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন দাঁড়িয়ে বললেন: “নিশ্চয় আল্লাহ যেদিন আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টি করেছেন সেদিনই মক্কাকে হারাম (পবিত্রস্থান) ঘোষণা করেছেন। আল্লাহর ঘোষণার ভিত্তিতে এটি কেয়ামত পর্যন্ত হারাম। আমার পূর্বে কারো জন্য মক্কাকে (যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে) বৈধ করা হয়নি। আমার পরেও কারো জন্য তা বৈধ নয়। আমার জন্য দিনের সামান্য কিছু সময় বৈধ করা হয়েছিল। এখানের শিকারকে তাড়ানো যাবে না, কাঁটাগুলো ছেড়া যাবে না।”[সহিহ বুখারি (১২৮৪) ও সহিহ মুসলিম (১৩৫৩)]

হাদিসের দালিলিক অংশ হচ্ছে- ‘এখানের শিকারকে তাড়ানো যাবে না’ এটি সুস্পষ্ট ভাষ্য যে, মক্কাতে শিকার তাড়ানো হারাম। শিকার করাতো আরও জঘন্য হারাম। আর মদিনার ব্যাপারে সহিহ হাদিসে আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলতেন: যদি আমি মদিনাতে হরিণ চরতে দেখি তবে আমি একে সন্ত্রস্ত করব না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “মদিনার দুই লাবা ভূমির মাঝের জায়গাটুকু হারাম (পবিত্রস্থান)।”[সহিহ বুখারি (১৭৭৪) ও সহিহ মুসলিম (১৩৭২)]

লাবা বলা হয় হাররাকে অর্থাৎ কালো পাথরকে। মদিনায় কালো পাথরের দুটি ভূমি আছে। একটি হল পূর্বপাশে, অন্যটি হল পশ্চিমপাশে।

পক্ষান্তরে, হারাম মাসগুলোর সাথে শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহই ভাল জানেন।

প্রাণী শিকার চিকিৎসা পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব ওয়েবসাইটে দেখান