Islam QA ওয়েবসাইটের জন্য দান করুন

আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্‌ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।

শিয়াদের সম্পর্কে

15-10-2015

প্রশ্ন 97448

আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত ও শিয়াদের মাঝে মতভেদের বিষয়গুলো জানা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। আশা করব তাদের আকিদা-বিশ্বাসগুলো পরিষ্কারভাবে তুলে ধরবেন।

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

শিয়াদের নানা উপদল রয়েছে। তাদের কোনটি আলী (রাঃ) এর পূজারী কাফের। এ দলটি বলে, হে আলী! এবং এরা ফাতেমা (রাঃ) ও হুসাইন (রাঃ) প্রমুখ এরও পূজা করে।

শিয়াদের কোন উপদল বলে: জিব্রাইল (আঃ) আমানতের খেয়ানত করেছেন। নবুয়ত পাওয়ার কথা আলী (রাঃ); মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নয়।

তাদের আরেকটি উপদলকে বলা হয় ইমামিয়া। এরা হচ্ছে- বার ইমামে বিশ্বাসী রাফেজী। এরাও আলী (রাঃ) এর পূজারী। এরা বলে: তাদের ইমামগণ ফেরেশতাদের চেয়ে ও নবীদের চেয়ে উত্তম।

এদের অনেক শাখা রয়েছে। এর কোনটি কাফের; কোনটি কাফের নয়। এদের শাখাটির বিশ্বাস অপেক্ষাকৃত হালকা ত্রুটিপূর্ণ তারা বলে: আলী (রাঃ) অপর তিন খলিফা– আবু বকর (রাঃ), উমর (রাঃ) ও উসমান (রাঃ) এর চেয়ে উত্তম। এ দলটি কাফের নয়; তবে এটি ভুল। কারণ আলী (রাঃ) চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ), উমর (রাঃ) ও উসমান (রাঃ) তাঁর চেয়ে উত্তম। যদি কেউ আলী (রাঃ) কে এ তিনজনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেয় তাহলে সে ভুল করল এবং সাহাবীদের ইজমা বা ঐকমত্যের বিরোধিতা করল। তবে সে কাফের হবে না। অতএব, শিয়ারা নানাস্তরের ও নানা প্রকারের। কেউ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে বড় বড় আলেমগণের লেখনী পড়তে পারেন; যেমন মুহিব্বুদ্দীন খতীব এর “আল-খুতুত আল-আরিদা” কিংবা ইবনে তাইমিয়া এর “মিনহাজুস সুন্নাহ”। অথবা শিয়াদের উপর লিখিত অন্যান্য গ্রন্থও পড়তে পারেন; যেমন- ইহসান ইলাহি জহির লিখিত “আস-শিয়া ওয়াস সুন্নাহ”। শিয়াদের সম্পর্কে এবং তাদের ভ্রান্তিগুলো অপনোদনমূলক অনেক গ্রন্থ রয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে তাদের অনিষ্ট থেকে হেফাযত করুন।

শিয়াদের উপদলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য হচ্ছে- ইমামিয়া ও নুসাইরিয়া। এদেরকে রাফেজি বা রাফেদিও বলা হয় (অর্থ- প্রত্যাখ্যানকারী)। এ নাম করণের কারণ হচ্ছে- যায়েদ ইবনে আলী (রহঃ) যখন আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) থেকে নিজের মুক্ততা ঘোষণা করতে অস্বীকার করলেন তখন এরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করল; তাঁর বিরোধিতা করল।

অতএব, যে কেউ নিজেকে মুসলমান দাবী করলেই তার দাবী মেনে নেয়া হবে না। যে দাবী করবে যে, সে মুসলিম তার সে দাবীর যথার্থতা যাচাই করা হবে। যে ব্যক্তি এক আল্লাহর ইবাদত করে, তাঁর রাসূলকে বিশ্বাস করে, এবং রাসূল যা নিয়ে এসেছেন সেটার অনুসরণ করে– সে মুসলিম। আর কেউ যদি নিজেকে মুসলিম দাবী করে কিন্তু সে ফাতেমা (রাঃ) এর পূজা করে, কিংবা বাদাবির পূজা করে, কিংবা ইদরোস বা অন্য কারো পূজা করে সে মুসলিম নয়। আমরা আল্লাহর নিকট নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। অনুরূপভাবে যে কেউ ইসলামকে গালি দিবে কিংবা নামায তরক করবে যদিও সে নিজেকে মুসলিম দাবী করে আসলে সে মুসলিম নয়। কিংবা কেউ যদি ইসলামকে নিয়ে উপহাস করে কিংবা নামায, যাকাত, রোজা এর কোন একটিকে নিয়ে উপহাস করে; কিংবা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে উপহাস করে; কিংবা তাঁকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে; কিংবা বলে: তিনি মূর্খ অথবা বলে: তিনি রিসালত পরিপূর্ণ করে যাননি; কিংবা বলে: তিনি সুস্পষ্টভাবে প্রচার করেননি– এরা সকলে কাফের। আমরা আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি।

বিভিন্ন মতবাদ ও ধর্ম
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব ওয়েবসাইটে দেখান