আলহামদু লিল্লাহ।.
বিমানের যাত্রী যে পানির কথা ভুলে যান কিংবা বিমান বন্দরে রেখে চলে যান:
হয়তো সে পানির সাথে পানির মালিকের অন্য কোন ব্যাগও থেকে থাকবে যে ব্যাগটি তার নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে এবং বিমান সেবা প্রদানকারী কোম্পানির দায়িত্বে সেটি প্রবেশ করেছে। এমতাবস্থায় এই ব্যাগের মালিক ব্যাগটি ও ব্যাগের সাথে পানিটি নেয়ার জন্য ফেরত আসে কিনা সেটার অপেক্ষা করতে হবে। যদি জানা যায় যে, ব্যাগের মালিক কখনও ফেরত আসবে না কিংবা ফেরত আসার আশা শেষ কিংবা পানিটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়; তাহলে পানিটি বিক্রি করে দেয়া হবে এবং এর মূল্য মালিকের পক্ষ থেকে সদকা করে দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কোম্পানির উপর আবশ্যক যাত্রীর চুক্তিপত্রে উল্লেখিত সময়সীমা পর্যন্ত তার ব্যাগেজ সংরক্ষণ করা।
শাইখ উছাইমীনকে জিজ্ঞেস করা হয়:
“কোন লন্ড্রীতে কিছু কাপড় দুই মাসের বেশি সময় ধরে পড়ে আছে; কাপড়গুলোর মালিকদের পরিচয় জানা নেই। কিন্তু ভাউচারের শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখ করা আছে যে, দুইমাসের বেশি সময় কোন মালিক কাপড় ফেলে রাখলে লন্ড্রী এর জন্য দায়বদ্ধ নয়। লন্ড্রীর মালিক কি কাপড়গুলো নিজে ব্যবহারের জন্য কিংবা বিক্রি করার জন্য কিংবা সদকা করার জন্য নিয়ে নিতে পারেন? যদি কাপড়গুলো নিয়ে কিছু একটা করে ফেলার পর মালিক এসে কাপড়গুলো চায় তখন লন্ড্রীর মালিক কাপড়ের মূল্য ফেরত দিতে কি বাধ্য; নাকি বাধ্য নয়?
জবাবে তিনি বলেন:
যদি কাপড়ের মালিককে এই শর্ত দেয়া হয় যে, দুই মাসের বেশি দেরী করলে তার কাপড় দাবী করার অধিকার থাকবে না: তাহলে কাপড়ের মালিকই দেরী করেছে। দুই মাস পূর্তির পর লন্ড্রীর মালিক কাপড়গুলো সদকা করে দিতে পারেন; যদি কেউ সদকা হিসেবে নিতে চায় কিংবা নিজে পরতে পারেন কিংবা বিক্রি করে এর মূল্য সদকা করে দিতে পারেন। কিন্তু আমার অভিমত হলো দুই মাসের পর আরও দশদিন বা পনের দিন অপেক্ষা করা। কেননা হতে পারে কাপড়ের মালিক ফেরত আসবে। হতে পারে তার গাড়ী নষ্ট হয়ে গেছে কিংবা সে কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। উত্তম হলো অপেক্ষা করা।”[লিক্বাউল বাব আল-মাফতুহ (১১/২১৫)]
তিনি আরও বলেন:
“তাদের উভয়ের মধ্যে যদি নির্দিষ্ট কোন সময়ের চুক্তি থাকে তাহলে যখন সেই সময়টি অতিবাহিত হবে তখন তার জন্য সেটি সদকা করে দেয়া কিংবা বিক্রি করে এর মূল্য সদকা করে দেয়া জায়েয হবে।
আর যদি উভয়ের মাঝে নির্দিষ্ট কোন সময়ের চুক্তি না থাকে তাহলে এক মাস বা দুই মাস পরে বিক্রি করে দেয়া জায়েয হবে না। বরং এই কাপড়গুলোর মালিক ফেরত আসার ব্যাপারে নিরাশ হয়ে যাওয়ার পূর্বে এগুলো বিক্রি করবে না কিংবা কোনরূপ হস্তক্ষেপ করবে না। যদি নিরাশ হয়ে যায়; তাহলে তার উপর কোন দায় থাকবে না। কেননা অনন্তকাল পর্যন্ত এই কাপড়গুলো বা এই কার্পেটগুলো দিয়ে তার জায়গা দখল করে রাখা সম্ভবপর নয়।”[লিক্বাউল বাব আল-মাফতুহ (১৯/২১৫)]
নয়তো পানিটি কোন যাত্রীর কোন ব্যাগের অধিভুক্ত হবে না। অথচ ফ্লাইটের সময় অতিক্রম হয়ে গেছে কিংবা পানির উপর কোন তথ্য রেজিস্ট্রি করা হয়নি এবং বিমান বন্দরে কিছুদিন পড়ে রয়েছে যাতে প্রবল ধারণা হয় যে, পানির মালিক পানিটি রেখে চলে গেছে কিংবা তার ফ্লাইট মিস হয়েছে; তাই পানিটি নেয়ার জন্য কিংবা খোঁজ করার জন্য সে বিমান বন্দরে ফেরত আসা একেবারে অযৌক্তিক। সেক্ষেত্রে বৈমানিক বা অন্য কর্মচারীদের পানিটি ব্যবহারে কোন অসুবিধা নেই। কেননা সেক্ষেত্রে এ পানির হুকুম তুচ্ছ কুড়ানো জিনিস কিংবা যে জিনিসের মালিক অনাগ্রহবশতঃ সেটাকে ফেলে চলে গেছে: যে ব্যক্তি এটি পেয়েছেন তার জন্য এর থেকে উপকৃত হওয়া জায়েয।
আর যদি কর্তৃপক্ষ এমন কাউকে দিয়ে দেয় যারা এর দ্বারা উপকৃত হতে ইচ্ছুক; হোক তারা কর্মচারী কিংবা যাত্রী তাহলে সেটাও ইনশাআল্লাহ্ ভালো।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।