আলহামদু লিল্লাহ।.
যে জমিটির উপর তিনি ব্যক্তি মালিকানাধীন মার্কেট নির্মাণ করতে চাচ্ছেন সেটি যদি মসজিদ বানানোর জন্য ওয়াক্ফকৃত জমি হয়; অর্থাৎ সেটি নামাযের জন্য প্রস্তুতকৃত মসজিদের অংশ বিশেষ হয় কিংবা মসজিদের অনুবর্তী হয়: তাহলে এই জমিকে কোন অবস্থাতে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা জায়েয হবে না। বরং এটি হবে আল্লাহ্র অধিকারের উপর ও মুসলমানদের অধিকারের উপর সীমালঙ্ঘন।
আর যদি সেটি মসজিদের ব্যবহারের জন্য ও মসজিদের খরচ পরিচালনার জন্য ওয়াক্ফকৃত হয় তাহলে সেখানে মার্কেট নির্মাণ করতে কোন বাধা নেই। তবে সেটাকে ব্যক্তি মালিকানায় নেয়া যাবে না। বরং সেটি মসজিদের ওয়াক্ফ সম্পদ হিসেবেই থাকবে। এই সম্পত্তি থেকে যা উপার্জন হবে সেটাকে মসজিদের জন্য ব্যয় করা হবে কিংবা ওয়াক্ফকারীর শর্ত মোতাবেক অন্য কোন কল্যাণজনক খাতে ব্যয় করা হবে।
শাইখ বিন বাযকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:
মসজিদের আঙ্গিনাতে থাকার জন্য বাসা বানানোর হুকুম কী। উল্লেখ্য, এই আঙ্গিনাটি মসজিদের একটি হলরুমের অংশ বিশেষ, যেখানে নামাযের জামাত হয়। যদি সেখানে বাসাটি বানানো হয় সেক্ষেত্রে মসজিদ কর্তৃপক্ষের উপর কী করা আবশ্যকীয়?
জবাবে তিনি বলেন:
মসজিদের জায়গার উপর কোন কিছু বানানো যাবে না। যদি জায়গাটি মসজিদের অনুবর্তী হয়; তাহলে এতে কোন কিছু নির্মাণ করা যাবে না। বরং মসজিদের সম্প্রসারণ হিসেবে এটি থেকে যাবে এবং মুসল্লি বাড়লে সেখানে নামায পড়া হবে। এর মধ্যে কোন কিছু বানানো যাবে না। বরং এটি মসজিদের সম্প্রসারণ হিসেবে থাকবে। যদি কোন কিছু থাকে এবং ইমাম, মুয়াজ্জিন, লাইব্রেরী বা মসজিদের প্রয়োজনে কোন কিছু করতে হয় তাহলে মসজিদের বাহিরে নির্মাণ করতে হবে। কিংবা দানকারীদের দান দিয়ে কোন একটা জমি ক্রয় করে সেটা দিয়ে করতে হবে। মূল কথা হলো মসজিদের আঙ্গিনা বা প্রাঙ্গন মসজিদের সম্প্রসারণ হিসেবে থেকে যাবে।[মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে বায (৩০/৮৩-৮৪)]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।