আলহামদু লিল্লাহ।.
ইমাম রুকুতে থাকা অবস্থায় মুক্তাদি নামাযে প্রবেশ করার অবস্থাসমূহ
ইমাম যখন রুকুতে, তখন মুক্তাদির নামাযে প্রবেশের তিনটি অবস্থা:
১. মুক্তাদি দাঁড়ানো অবস্থায় তাকবীরে তাহরীমা বলা, তারপর রুকু দেয়া এবং তখনও ইমাম রুকুতে থাকা। এ অবস্থায় সে ইমামের সাথে রাকাত পেয়েছে বলে গণ্য হবে।
২. ইমাম রুকুতে থাকা অবস্থায় সে তাকবীরে তাহরীমা বলেছে, কিন্তু ইমাম রুকু থেকে ওঠার পর সে রুকু দিয়েছে, এ অবস্থায় সে ইমামের সাথে রাকাত পায়নি বলে গণ্য হবে এবং তাকে এই রাকাত নিজে পড়তে হবে।
৩. তাকবীরে তাহরীমা ছাড়াই সে সরাসরি রুকুতে চলে যাওয়া। এমন অবস্থায় তার নামায বাতিল হবে। কারণ সে নামাযের অন্যতম একটি রোকন তথা তাকবীরে তাহরীমা ছেড়ে দিয়েছে।
“যে রুকু পেল, সে রাকাত পেল” শীর্ষক হাদীসটির উপর সাহাবীদের আমল।
ফকীহরা একমত যে ইমামকে যে ব্যক্তি রুকুতে পাবে, সে রাকাত পেয়েছে বলে গণ্য হবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রুকু পেল, সে রাকাত পেল।”[হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেন এবং শাইখ আলবানী ‘ইরওয়াউল গালীল’ (৪৯৬) বইয়ে এটিকে সহীহ বলে গণ্য করেন]
তিনি বলেন (পৃ. ২৬২): “একদল সাহাবী হাদীসটির উপর আমল করেছেন, যা এই হাদীসটিকে শক্তিশালী করে। তারা হলেন:
এক: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ। তিনি বলেন: “যে ব্যক্তি ইমামকে রুকু অবস্থায় পায়নি, সে রাকাতটি পায়নি। ...” এর সনদ সহীহ।
দুই: আব্দুল্লাহ ইবনে উমর। তিনি বলেন: “আপনি যদি এসে দেখেন ইমাম রুকুতে আছেন, তাহলে ইমাম ওঠার আগে আপনার দুই হাত হাঁটুতে রাখুন, তাহলেই আপনি রাকাত পেয়ে গেলেন।” এটির সনদ সহীহ।
তিন: যাইদ ইবনু সাবিত। তিনি বলতেন: “ইমাম মাথা তোলার আগে যে ব্যক্তি (রুকু দিয়ে) রাকাত ধরেছে, সে রাকাত পেয়েছে।” এর সনদ সহীহ ...”[সমাপ্ত] দেখুন: আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যা আল-কুয়াইতিয়্যাহ (২৩/১৩৩) এবং আল-মুগনী (১/২৯৮)।
আল্লাহ সর্বজ্ঞ।