আলহামদু লিল্লাহ।.
ফুটপাতের কিছু অংশ দখল করা, এর উপর ভবন নির্মাণ করা এবং এটাকে দোকানের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া; যেন এটা আপনারই মালিকানাধীন কিংবা আপনি নিজ মালিকানাধীন সম্পদে যেভাবে হস্তক্ষেপ করেন এটাতেও সেভাবে হস্তক্ষেপ করা— এ ধরণের কাজ জায়েয নয়। এটি অন্যায়ভাবে অধিকারবিহীনভাবে জমি দখল করার পর্যায়ভুক্ত।
আব্দুল্লাহ্বিন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি তার অধিকার বহির্ভূতভাবে ভূমির কোন একটি অংশ গ্রহণ করবে কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তিকে সাত জমিনের নীচে দাবানো হবে"।[সহিহ বুখারী (২৪৫৪)]
আর বেচাবিক্রির সময় কেবল ঐ স্থানের উপর মালামাল রাখাটা যদি মানুষের মাঝে প্রচলিত প্রথায় ক্ষমার্হ হয় তাহলে এতে কোন অসুবিধা নাই; যদি এতে পথচারী ও ক্রেতাদের কোন ক্ষতি না হয় এবং তাদের চলাচলের পথকে সংকুচিত না করে।
ইবনে কুদামা (রহঃ) বলেন:
"সড়ক, রাস্তা ও দালানের মাঝখানের গলিগুলো আবাদ করা (বুঝাতে চাচ্ছেন এর উপর নির্মাণ করা ও এ জাতীয় অন্যান্য তৎপরতা যা কেবল কোন মালিক মালিকানা বলে করতে পারে)-র অধিকার কারো নাই; সেটা প্রশস্ত হোক; কিংবা সংকীর্ণ হোক; সেটা মানুষের জন্য সংকুচিত করুক কিংবা না করুক। কেননা এ স্থানগুলো মুসলমানদের সম্মিলিত মালিকানাধীন এবং এর সাথে তাদের সকলের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট; তাই এগুলোর বিধান তাদের মসজিদের মত।
তবে প্রশস্ত হলে বেচাবিক্রির মত কাজে এর উপর এমনভাবে বসা জায়েয হবে যাতে করে অন্য কারো জন্য রাস্তা সংকুচিত না হয় এবং পথচারীদের ক্ষতি না হয়। যেহেতু সকল যুগের সকল শহর-বন্দরের মানুষ এমন বিষয়ে সম্মতি দেয়; আপত্তি করে না। এবং যেহেতু এটি কারো ক্ষতি না করে বৈধ উপযোগিতা গ্রহণ করা; তাই যাতায়াতের মত এতে কোন বাধা নেই।"[আল-মুগনী (৮/১৬১)]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।