আলহামদু লিল্লাহ।.
রোযাদার দিনের বেলায় পানাহার বর্জনে আদিষ্ট। এটি আল্লাহ্র জন্য ও তাঁর কাছে সওয়াব লাভের আশা করা বাঞ্চনীয়।
আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “আর তোমাদের কাছে কালো রেখা থেকে প্রভাতের সাদা রেখা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত (অর্থাৎ রাতের অন্ধকার চলে গিয়ে ভোরের আলো উদ্ভাসিত না হওয়া পর্যন্ত) তোমরা পানাহার কর। এরপর রাত পর্যন্ত রোযা পূর্ণ কর।”[সূরা বাক্বারা, আয়াত: ১৮৭]
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ্ আয্যা ওয়া জাল্ল বলেন: রোযা আমারই জন্য। আমিই এর প্রতিদান দিব। আমার কারণে সে তার যৌনচাহিদা ও পানাহারকে বর্জন করে।”[সহিহ বুখারী (৭৪৯২) ও সহিহ মুসলিম (১১৫১)]
তাই রোযাদারের কাছে খাবার ও পানীয়ের ছবি পেশ করা যাতে করে সে উত্ত্যক্ত হয় কিংবা তার নিয়তকে দুর্বল করা যায় কিংবা রোযা ভেঙ্গে ফেলাকে তার কাছে সুশোভিত করা যায়- হারাম কাজ, শরিয়তের উদ্দেশ্য বিরোধী কাজ। এটি শয়তানের কর্ম; যে মুমিনকে হক্বের পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য প্রতিটি পথে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। যেমনটি আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন: “শয়তান তাদের কাজকর্মকে তাদের কাছে শোভাময় করেছে এবং তাদেরকে সৎপথ থেকে বিচ্যুত করেছে; তাই তারা পথের সন্ধ্যান পাচ্ছে না।”[সূরা আন-নামল, আয়াত: ২৫]
এবং তিনি আরও বলেছেন: “সে বলল: যেহেতু (মানুষের কারণে) আপনি আমাকে বিপথে ঠেলে দিলেন তাই আমিও আপনার সরল পথে তাদের বিরুদ্ধে অপেক্ষমান থাকব। অতঃপর আমি তাদের কাছে আসব তাদের সামনে থেকে, তাদের পেছন থেকে, তাদের ডানদিক থেকে ও তাদের বামদিক থেকে; ফলে আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না ।”[সূরা আল-আরাফা, ১৬-১৭]
এই কাজটি যেহেতু হারাম; তাই কেউ যদি এটি ঠাট্টাচ্ছলে করে তাহলে সেটি মাকরূহ, এটি করা অনুচিত। বরং আল্লাহ্র নিদর্শনগুলোকে সম্মান করা, ফরজ আমলের মর্যাদা অবহিত হওয়া এবং এই ইবাদত পালনে উৎসাহিত করা বাঞ্চনীয়। হতে পারে এই ধরণের ছবিগুলো দুর্বল ঈমানদারদেরকে রোযা ভেঙ্গে ফেলতে প্রলুব্ধ করবে। তখন ঠাট্টাকারী এর পাপ বহন করবে।
আর যদি সত্যি সত্যি রোযাদারকে উত্ত্যক্ত করা উদ্দেশ্য হয়; যাতে করে সে উত্ত্যক্ত হয় যে সে এই সুস্বাদু খাবার থেকে বঞ্চিত কিংবা তার নিয়তকে দুর্বল করার জন্য কিংবা রোযা ভেঙ্গে ফেলাকে সুশোভিত করার জন্য; তাহলে এটি করা হারাম কাজ; যেহেতু এটি শরিয়তের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক যেমনটি ইতিপূর্বে বলা হয়েছে এবং যেহেতু এটি পাপের দিকে আহ্বান।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।