আলহামদু লিল্লাহ।.
আপনার প্রশ্ন থেকে এই লেনদেনে ব্যাংকের কী ভূমিকা সেটা পরিস্কার হয়নি।
যদি ব্যাংকের ভূমিকা হয় অর্থায়ন; অর্থাৎ আপনার পক্ষ থেকে মূল্য পরিশোধ করা; পরবর্তীতে আপনার থেকে বেশী গ্রহণ করা: তাহলে এটি সূদভিত্তিক হারাম ঋণ; হোক সেটা আপনি সরাসরি গ্রহণ করুন কিংবা আপনার নিযুক্ত এজেন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করুন।
আর যদি আপনি নিজ অর্থ দিয়ে ক্রয় করেন কিন্তু পেমেন্টটা ব্যাংকের মাধ্যমে হয় এবং ব্যাংক অর্থটি বিক্রেতার কাছে ট্রান্সফার করার জন্য কমিশন নেয় তাহলে এতে কোন অসুবিধা নেই।
অনুরূপভাবে ব্যাংক যদি পণ্যটি নিজের জন্য ক্রয় করে, পণ্যটি রিসিভ করে নেয়; অতঃপর আপনার কাছে বিক্রি করে তাতেও কোন অসুবিধা নেই।
তাই আপনি যে লেনদেন করছেন সেটার হুকুম বর্তাবে এই লেনদেনে ব্যাংকের ভূমিকা কী সেটার ভিত্তিতে।
জেনে রাখুন সুদী ঋণ ব্যাংক থেকে সরাসরি অর্থ নিয়ে বেশি পরিশোধ করা এটাকে যেমন অন্তর্ভুক্ত করে তেমনি ব্যাংক কর্তৃক কাস্টমারের পক্ষ থেকে পরিশোধ করে পরবর্তীতে কাস্টমার থেকে বেশি আদায় করা সেটাকেও অন্তর্ভুক্ত করে: এর সবগুলোই হারাম।
ইমাম কুরতুবী তার তাফসিরে (৩/২৪১) বলেন: "মুসলমানগণ তাদের নবী থেকে বর্ণনার ভিত্তিতে ইজমা (মতৈক্য) করেছেন যে, ঋণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশোধের শর্ত করা সুদ; এমনকি সেটা যদি এক মুট পশুর খাবার হয় তবুও; যেমনটি বলেছেন ইবনে মাসউদ (রাঃ): একটি মাত্রা শস্যদানা যদি হয় তবু।"[সমাপ্ত]
ইবনে কুদামা (রহঃ) 'আল-মুগনি' গ্রন্থে (৬/৪৩৬) বলেন: "প্রত্যেক এমন ঋণ যাতে বেশি পরিশোধ করার শর্ত করা হয়েছে কোন মতভেদ ছাড়া সেটা হারাম। ইবনুল মুনযির বলেন: আলেমগণ ইজমা করেছেন যে, ঋণদাতা যদি ঋণগ্রহীতার উপর (ঋণের চেয়ে) অতিরিক্ত পরিশোধ করা কিংবা হাদিয়া দেয়ার শর্ত করে এবং এর ভিত্তিতে ঋণ দেয় তাহলে তার অতিরিক্ত গ্রহণ করাটা সুদ। উবাই বিন কাব (রাঃ), ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তারা এমন ঋণ থেকে নিষেধ করতেন যে ঋণ কোন না কোন উপকার টেনে আনে।"[সমাপ্ত]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।