আলহামদু লিল্লাহ।.
এক:
যদি বেচাকেনা সম্পন্ন হয় এবং ক্রেতা এই কথার উপর বায়নার অর্থ প্রদান করে যে, সে ক্রয়ের সিদ্ধান্তে অটল থাকবে; অন্যথায় বায়নার অর্থ বিক্রেতা পাবে— তাহলে এমন লেনদেন সঠিক; এটাকে বায়না চুক্তি বলা হয়।
"আল-মুবদি" গ্রন্থে (৪/৫৮) বলেন: "বায়না চুক্তি" হল: কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে কোন একটি জিনিস ক্রয় করা এবং বিক্রেতাকে এক দিরহাম বা একাধিক দিরহাম প্রদান করে বলা যে, যদি আমি জিনিসটি নিই তাহলে মূল্য থেকে এই দিরহাম কাটা যাবে। অন্যথায় দিরহামটি আপনি পাবেন। ইমাম আহমাদ বলেন: এটি সঠিক। কেননা উমর (রাঃ) তা করেছেন। দলিল হচ্ছে নাফে বিন আব্দুল হারেছ বর্ণনা করেছেন যে, তিনি উমর (রাঃ) এর পক্ষ থেকে জেলখানা হিসেবে ঘরটি সাফওয়ান থেকে ক্রয় করেছেন এই শর্তে যে, যদি উমর (রাঃ) রাজি হন। আর রাজি না হলে তাহলে তিনি এত এত অর্থ পাবেন।"[সমাপ্ত]
দুই:
যদি ক্রেতা চুক্তিটি বাতিল করে দেয়; আর বিক্রেতা বায়নার অর্থ গ্রহণ করে এবং বিক্রেতা কয়েকজন হন তাহলে তারা তাদের মালিকানার ভাগ অনুযায়ী বায়নার অর্থ ভাগ করে নিবেন। যদি তাদের সকলের ভাগ সমান হয় তাহলে সবাই সমান ভাগ নিবেন। আর যদি কারো ভাগ উদাহরণস্বরূপ অর্ধেক হয় তাহলে সে বায়নার অর্থের অর্ধেক পাবে। এটাই হবে ভাগের পদ্ধতি।
ফিকাহবিদগণ অনুরূপ মাসয়ালার ক্ষেত্রে এভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যেমন কোন ভূমি থেকে যদি আয় আসে তাহলে তাদের প্রত্যেকের মালিকানার ভাগ অনুযায়ী আয়টা বণ্টিত হবে। কিংবা জমির ভাগীদারদের একজন যদি তার অংশ বিক্রি করে দেয় তাহলে বাকীরা তাদের ভাগ অনুপাতে শুফা (অগ্রক্রয়)-এর অধিকার পাবে। কিংবা তারা যদি তাদের যৌথ মালিকানাধীন জমি বণ্টন করার জন্য কাউকে নিয়োগ করে তাহলে বণ্টনকারীর পারিশ্রমিক তাদের ভাগ অনুপাতে নেওয়া হবে।
"মাতালিবু উলিন নুহা" গ্রন্থে (৪/১২০) বলেন: "ওটা (অর্থাৎ শুফা বা অগ্রক্রয়)-র অধিকার ভাগীদারদের মাঝে তাদের ভাগ অনুপাতে হবে; রদ্দের মাসয়ালার মত (কেননা শুফা এমন একটি অধিকার যা মালিকানার কারণে সাব্যস্ত হয়। তাই এটি জমির আয়ের মত ভাগ অনুপাতে নির্ধারিত হবে)।[সমাপ্ত]
"শারহুল মুনতাহা" গ্রন্থে (৩/৫৫০) বলেন: কোন একজন ভাগীদার এককভাবে বণ্টনকারী নিয়োগ করবে না। কেননা বণ্টনকারীর পারিশ্রমিক পরিশোধ করা প্রত্যেকের উপর তার ভাগ অনুপাতে আবশ্যক।"[সমাপ্ত]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।