আলহামদু লিল্লাহ।.
যদি কোম্পানি হালাল পণ্য বিক্রি করে, সুদী ঋণ না নেয় এবং সুদী একাউন্টে তাদের অর্থ জমা না রাখে; তাহলে এই কোম্পানির শেয়ার কিনতে এবং এই প্রণোদনা থেকে উপকৃত হতে কোন অসুবিধা নাই
ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগের অধিভুক্ত ‘ফিকাহ একাডেমি’-র ১৪১৫হিঃ মোতাবেক ১৯৯৫খ্রিঃ সালে অনুষ্ঠিত অধিবেশনের সিদ্ধান্তে এসেছে:
১। যেহেতু লেনদেনসমূহের মূল বিধান বৈধতা ও হালাল হওয়া; তাই উদ্দেশ্য-লক্ষ্য ও তৎপরতা হালাল এমন অংশীদারিত্ব ভিত্তিক কোম্পানি গঠন করা শরিয়তের দৃষ্টিতে জায়েয।
২। যে সব কোম্পানির প্রধান উদ্দেশ্য হারাম; যেমন- সুদি লেনদেন, হারাম পণ্য উৎপাদন, হারাম পণ্যের ব্যবসা; সেগুলোর শেয়ার কেনা হারাম এতে কোন মতভেদ নেই।
৩। কোন মুসলিমের জন্য এমন কোন কোম্পানি বা ব্যাংকের শেয়ার কেনা জায়েয নেই যেগুলোর কিছু লেনদেনে সুদ রয়েছে কিংবা হারাম পণ্যের উৎপাদন রয়েছে কিংবা হারাম পণ্যের ব্যবসা রয়েছে।[সমাপ্ত]
আপনি ১% যে সুদের কথা উল্লেখ করেছেন সেটার কারণ ব্যাখ্যা করেননি। খুব সম্ভব সেটি চলতি হিসাবে অর্থ জমা রাখা থেকে উৎপন্ন; যেমনটি কিছু কিছু ব্যাংকের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। সেটা যেমনিই হোক; বাহ্যতঃ প্রতীয়মান হচ্ছে যে, কোম্পানিটি সুদভিত্তিক অর্থ জমা করে এমনটি বলা যাবে না। কিন্তু এই পার্সেন্টিজ থেকে আপনাকে মুক্ত হতে হবে। কেননা চলতি হিসাবে উপহার হিসেবে যা পাওয়া যায় সেটা হারাম। দেখুন: নং প্রশ্নোত্তর।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।