আলহামদু লিল্লাহ।.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে মুতাওয়াতির সুন্নাহর মাধ্যমে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি তাহরিমার জন্য ও স্থানান্তরের জন্য তাকবীর দিতেন এই বলে: ‘আল্লাহু আকবার’। এর উপরে কোন কিছু বাড়ানো যেমন: ‘আল্লাহু আকবার কাবিরা’ বলা কিংবা ‘আল্লাহু আকবার আল-আযিম’ কিংবা ‘আল-মু’তি’ বলা— বিদাত; প্রত্যাখ্যাত। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমাদের শরিয়তে এমন কিছু চালু করবে যা তাতে নেই সেটি প্রত্যাখ্যাত”।[সহিহ বুখারী (২৬৯৭) ও সহিহ মুসলিম (১৭১৮)]
তিনি আরও বলেন: “যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করে যা আমাদের শরিয়তে নেই সেটি প্রত্যাখ্যাত”।[সহিহ মুসলিম (১৭১৮)]
তিনি আরও বলেন: “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আমার পর বাঁচবে অচিরেই সে অনেক মতভেদ দেখবে। তোমাদের উপর আবশ্যক আমার সুন্নাহ্ ও সুপথপ্রাপ্ত খলিফাদের সুন্নাহ্-র অনুসরণ করা। এগুলোকে তোমরা আঁকড়ে ধর, দাঁত দিয়ে (শক্তভাবে) আঁকড়ে ধর। আর নতুন বিষয়াবলী থেকে বেঁচে থাক। কারণ প্রতিটি নতুন বিষয় বিদাত এবং প্রতিটি বিদাতই ভ্রষ্টতা।”[সুনানে আবু দাউদ (৪৬০৭), সুনানে তিরমিযি (২৬৭৬) ও সুনানে ইবনে মাজাহ (৪২)]
বিদাত হারাম। বিদাতকারী গুনাতে লিপ্ত। কিন্তু এটি করলেও তার নামায শুদ্ধ হবে; যেমনটি আলেমগণ উল্লেখ করেছেন।
নববী ‘আল-মাজমু’ গ্রন্থে (২/২৯২) বলেন: “আর যদি তাকবীর দেয় এবং এর সাথে এমন কিছু বাড়ায় যা তাকবীরকে পরিবর্তন করে দেয় না; যেমন বলল: ‘আল্লাহু আকবার ওয়া আজাল্ল’, ‘আল্লাহু আকবার কাবিরা’, ‘আল্লাহু আকবার মিন কুল্লি শাঈ’; তাহলে সেটা আদায় হয়ে যাবে। এতে মতভেদ নাই। যেহেতু সে তাকবীর উচ্চারণ করেছে এবং যা বৃদ্ধি করেছে সেটা তাকবীরকে পরিবর্তন করে দেয় না।”[সমাপ্ত]
আল-বুহুতি (রহঃ) ‘কাশ্শাফুল ক্বিনা’ গ্রন্থে (১/৩৩০) বলেন: “যদি তাকবীরে কিছু বৃদ্ধি করে; যেমন বলে: ‘আল্লাহু আকবার কাবিরা’ কিংবা ‘আল্লাহু আকবার ওয়া আ’জাম’ কিংবা ‘আল্লাহু আকবার ওয়া আজাল্ল’ কিংবা অনুরূপ কোন কথা; তাহলে সেটা মাকরুহ। কেননা সেটি নব উদ্ভাবিত।”[সমাপ্ত]
সারাংশ:
তাকবীরের মধ্যে বাড়ানো নাজায়েয। যে ব্যক্তি এমন কিছু করল সে নতুন কিছু করল, বিদাত করল। কিন্তু তার নামায সহিহ।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।