আলহামদু লিল্লাহ।.
মুক্তাদির জন্য উত্তম হচ্ছে- তা না করে চুপ থাকা এবং ইমামের কুরআন তেলাওয়াত শোনা।শাইখ আব্দুল আজীজ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে বাযরাহিমাহুল্লাহকে প্রশ্ন করা হয়েছিল: তারাবীর সালাতে মুক্তাদির কুরআন বহনের হুকুম কি?
তিনি উত্তরে বলেন: “এর কোন ভিত্তি আমার জানা নেই। আপাতদৃষ্টিতে এটাকে বেশি শক্তিশালী মনে হয় যে, সে খুশু (বিনম্রতা) অবলম্বন করবে এবং ধীরস্থিরতা বজায় রাখবে;কুরআন বহন করবে না। বরং বাম হাতের উপর ডান হাত রাখবে, এটি সুন্নত।অর্থাৎ সে তার ডান হাত বাম হাতের কব্জি ও বাহুরউপরে রাখবে এবং উভয় হাত বুকের উপর স্থাপন করবে। এটাই অগ্রগণ্য ও উত্তম অভিমত।কুরআন বহন করতে গেলে সে এসব সুন্নত পালন করতে পারবে না।হতে পারে তার অন্তর ও চোখ পৃষ্ঠা উল্টানো ও আয়াত তালাশে ব্যস্ত থাকবে; ইমামের তিলাওয়াতে মনোযোগ দিতে পারবে না।তাই আমি মনে করি, সালাতে কুরআন বহন না-করাটাই সুন্নাহ।মুক্তাদি মনোযোগ দিয়ে, নীরব থেকে তিলাওয়াত শুনবে; কুরআন বহন করবে না। (ইমাম আটকে গেলে) তার জানা থাকলে সে ইমামকে স্মরণ করিয়ে দিবে। না হলে অন্য কোন মুক্তাদি স্মরণ করিয়ে দিবে।যদি ধরে নেয়া হয় যে, ইমাম তেলাওয়াতে ভুল করেছে এবং তাকে কেউ শুদ্ধ করিয়ে দেয়নি, তবে সেটা সূরা ফাতিহা বাদে কুরআনের অন্য স্থানে হলে কোন সমস্যা নেই। হ্যাঁ সূরা ফাতিহাতে হলে সমস্যা আছে। কারণ সূরাফাতিহা পাঠ করা ফরজ, যা অবশ্যই পাঠ করতে হবে। সূরা ফাতিহা বাদে অন্য কোন আয়াত যদি বাদ পড়ে যায় এবং মুক্তাদিদের কেউ ইমামকে স্মরণ করিয়ে না দেয় তবে সমস্যা নেই।আর যদি প্রয়োজনের কারণে কোন একজন মুক্তাদি ইমামের জন্য কুরআন বহন করে তবে আশা করি তাতেও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু প্রত্যেক মুক্তাদি তার হাতে একটি করে কুরআন বহন করবেএটিসুন্নাহর (রাসূলের আদর্শের) খেলাফ।”সমাপ্ত
তাঁকে (বিন বাযকে)জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:
কিছু কিছু মুসল্লী কুরআন শরিফ খুলে ইমামের পড়া অনুসরণ করে- এতে কি কোন সমস্যা আছে?
তিনি উত্তরে বলেন: “আমার নিকট যা অগ্রগণ্য বলে মনে হয় তা হল, এটি না-করা উচিত।বরং উত্তম হল সালাত ও খুশুর (বিনম্রতার) দিকে মনোযোগী হওয়া এবং দুই হাত বুকের উপর বেঁধে ইমামের ক্বিরা’আত পাঠের দিকে গভীর মনোনিবেশ করা। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
( وَإِذَاقُرِئَالْقُرْآَنُفَاسْتَمِعُوالَهُوَأَنْصِتُوالَعَلَّكُمْتُرْحَمُونَ )
“আর যখনকুরআন পাঠ করা হয়,তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক,যাতে তোমরা রহমত লাভ কর।”[ সূরা আলআরাফ, ৭:২০৪]
এবং আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
( قَدْأَفْلَحَالْمُؤْمِنُونَ . الَّذِينَهُمْفِيصَلاتِهِمْخَاشِعُونَ )
“অবশ্যই মুমিনগণ সফল হয়েছে। যারা তাদের সালাতে বিনম্র।”[ সূরা আল-মু’মিনূন, ২৩:১-২]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
( إِنَّمَاجُعِلَالإِمَامُلِيُؤْتَمَّبِهِفَإِذَاكَبَّرَفَكَبِّرُواوَإِذَاقَرَأَفَأَنْصِتُوا )
“নিশ্চয়ই ইমামকে নিযুক্ত করা হয়েছে যেন তাকে অনুসরণ করা হয়। তাই ইমাম যখন তাকবীর বলবেনতখন তোমরাও তাকবীর বলবে এবং ইমাম যখন তেলাওয়াত করবেন তখন তোমরা নীরবতা অবলম্বন কর।”[সহীহ মুসলিম (৪০৪)] সমাপ্ত
[মাজমূ ফাতাওয়াশ শাইখ ইবনে বায (১১/৩৪০-৩৪২)]
দেখুন (10067) নং প্রশ্নের উত্তর।
আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।