আলহামদু লিল্লাহ।.
নিসাব হচ্ছে- যাকাত ফরয হওয়ার সর্বনিম্ন সীমা। যদি কোন ব্যক্তি এ পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তাহলে তার উপর যাকাত ফরয হবে। আর যদি এর চেয়ে কম পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তাহলে তার উপর যাকাত ফরয হবে না। একথা সুবিদিত যে, ইসলামী শরিয়াতে স্বর্ণ ও রৌপ্য উভয় মুদ্রার উপর যাকাত ফরয এবং বর্তমানে যেসব কাগুজে মুদ্রা এ দুটির স্থলাভিষিক্ত সেগুলোর উপরও যাকাত ফরয। সে মুদ্রা ডলার হোক, রিয়াল হোক, পাউন্ড হোক কিংবা অন্য কিছু হোক।
স্বর্ণের নিসাব হচ্ছে- ২০ মিসকাল; যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উল্লেখ করেছেন। ১ মিসকাল আমাদের বর্তমান যামানার হিসাবে প্রায় ৪.২৫ গ্রাম। অতএব, স্বর্ণের নিসাব হবে প্রায় ৮৫ গ্রাম। যে ব্যক্তি এ পরিমাণ স্বর্ণের মালিক হবে সেটা ধরণের হোক না কেন তার উপর যাকাত ফরয হবে। হাজারে ২৫ ভাগ (২.৫%)।
আর রৌপ্যের নিসাব হচ্ছে- ২০০ দিরহাম; যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানিয়েছেন। এ দিরহাম আমাদের যামানের হিসাবে প্রায় ২.৯৭৫ গ্রাম। সুতরাং রৌপ্যের নিসাব হবে প্রায় ৫৯৫ গ্রাম। যে ব্যক্তি এ পরিমাণ রৌপ্যের মালিক হবে তার রৌপ্যের উপর যাকাত ফরয হবে। হাজারে ২৫ ভাগ (২.৫%)।
আমরা জানি যে, বর্তমানে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্যের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে।তাই সাবধানতামূলক ও গরীবের জন্য কল্যাণকর হচ্ছে- আপনি দেখবেন আপনার কাছে যে ডলারগুলো আছে এবং যেগুলো সঞ্চয় করার মেয়াদ এক চন্দ্র বছর (৩৫৪ দিন) পূর্ণ হয়েছে সেগুলো যদি রৌপ্যের নিসাবের সমপরিমাণ হয় কিংবা এর চেয়ে বেশি হয় তখন আপনি এক হাজার ডলারে ২৫ ডলার হিসেবে যাকাত আদায় করবেন। যাকাতের শরিয়ত নির্ধারিত খাতে এ অর্থ বণ্টন করবেন।
আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদেরকে সম্পদের হক আদায় করার তাওফিক দেন। আমাদের নবী মুহাম্মদ এর উপর আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্য জানা যেতে পারে।