আলহামদু লিল্লাহ।.
‘আল-জাওয়াদ’ আল্লাহ্র সুন্দর নামসমূহের একটি নাম। এর সপক্ষে সুন্নাহর দলিল রয়েছে। ইমাম বাইহাক্বী তাঁর ‘শুআবুল ঈমান’ গ্রন্থে এবং আবু নুআইম তাঁর ‘হিলয়া’ নামক গ্রন্থে তালহা বিন উবাইদুল্লাহ্ ও ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে হাদিস সংকলন করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা জাওয়াদ (বদান্য) এবং তিনি বদান্যতাকে পছন্দ করেন। তিনি উন্নত আখলাককে পছন্দ করেন এবং তিনি নীচু চরিত্রকে অপছন্দ করেন।”[আলবানী সহিহুল জামে গ্রন্থে (১৭৪৪) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) তাঁর ‘আন-নুনিয়্যা’ নামক পদ্যতে বলেন:
তিনি হচ্ছেন আল-জাওয়াদ (বদান্য) যার বদান্যতা অনুগ্রহ ও অনুকম্পার মাধ্যমে সকলকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তিনিই হচ্ছেন আল-জাওয়াদ। তাই তিনি কোন কিছুর প্রার্থনাকারীকে বিফলে ফিরিয়ে দেন না। এমনকি সে যদি কাফের শ্রেণীর লোক হয় তবুও।
শাইখ আ-সা’দী (রহঃ) তাঁর তাফসিরে (৫/২৯৯) বলেন: ‘আর-রহমান, আর-রাহীম, আল-বার্রুল কারীম, আল-জাওয়াদুর রাউফ’ এই নামগুলোর অর্থ কাছাকাছি। এগুলো নির্দেশ করে যে, রব্ব রহমত, পূর্ণতা, বদান্যতা ও উদারতার গুণে বৈশিষ্টমণ্ডিত এবং প্রমাণ করে, তাঁর রহমত গুণের যা তাঁর হেকমত বা প্রজ্ঞার দাবী অনুযায়ী সকল অস্তিত্বশীলকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি মুমিনদেরকে এর বড় ও পরিপূর্ণ অংশ প্রদান করেছেন।[সমাপ্ত]
শাইখ ইবনে উছাইমীন (রহঃ) আল্লাহ্র সুন্দর নামসমূহ উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন:
আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস থেকে সাব্যস্ত হয়েছে: “আল-জামিল, আল-জাওয়াদ, আল-হাকীম, আল-হাইয়্য” ইত্যাদি।[আল-কাওয়ায়িদুল মুছলা থেকে সমাপ্ত]
দেখুন: শাইখ আলাওয়ি বিন আব্দুল ক্বাদের আস-সাক্বাফ কর্তৃক লিখিত “সিফাতুল্লাহ্ আয্যা ওয়া জাল্ল আল-ওয়ারিদা ফিল কিতাব ওয়াস সুন্নাহ।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে ‘আব্দুল জাওয়াদ’ নাম রাখা জায়েয।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।