শুক্রবার 21 জুমাদাল আউওয়াল 1446 - 22 নভেম্বর 2024
বাংলা

রজব মাসে উমরা পালন

প্রশ্ন

রজব মাসে উমরা পালন করা মুস্তাহাব মর্মে বিশেষ কোন ফজিলত বর্ণিত আছে কি?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

আমাদের জানা মতে, রজব মাসে উমরা করার বিশেষ কোন ফযিলত কিংবা এ ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়নি। বরং রমজান মাসে ও হজ্জের মাসসমূহে (শাওয়াল, যিলক্বদ ও যিলহজ্জ) উমরা করার বিশেষ ফযিলত সাব্যস্ত আছে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব মাসে উমরা করেছেন বলে সাব্যস্ত হয়নি। বরং আয়েশা (রাঃ) অস্বীকার করে বলেন: “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব মাসে কখনও উমরা করেননি” [সহিহ বুখারী (১৭৭৬) ও সহিহ মুসলিম (১২৫৫)]

দুই:

কিছু কিছু লোক যে, বিশেষ ফযিলত মনে করে রজব মাসে উমরা পালন করে এটি বিদআত। কেননা কোন মুমিনের জন্য শরয়ি দলিল ছাড়া বিশেষ কোন সময়কে বিশেষ কোন ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করা সঙ্গত নয়।

ইমাম নববীর ছাত্র ইবনুল আত্তার (রহঃ) বলেন:

“আমার কাছে মক্কাবাসীদের (আল্লাহ্‌ মক্কার সম্মান বৃদ্ধি করুন) সম্পর্কে সংবাদ এসেছে যে, রজব মাসে তারা বেশি বেশি উমরা করে থাকেন। এমন আমলের কোন ভিত্তি আমার জানা নেই। বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে সাব্যস্ত হয়েছে যে, “রমযান মাসে একটি উমরা পালন করা হজ্জের সমান।”[সমাপ্ত]

শাইখ মুহাম্মদ বিন ইব্রাহিম (রহঃ) তাঁর ফতোয়াসমগ্রে (৩/১৩১) বলেন:

রজব মাসের কিছু দিনকে কিছু কিছু আমলের জন্য খাস করা, যেমন- যিয়ারত ও অন্যান্য আমল; এর কোন ভিত্তি নেই। আবু শামা ‘আল-বিদা ওয়াল হাওয়াদিস’ গ্রন্থে যে সিদ্ধান্ত টেনেছেন সে সিদ্ধান্তের কারণে। সেখানে এসেছে- “শরিয়ত যে সময়ের সাথে কোন ইবাদতকে খাস করেনি সে সময়ের সাথে কোন একটি ইবাদতকে খাস করা অনুচিত। কেননা কোন এক সময়ের উপর অপর সময়ের বিশেষ কোন মর্যাদা নেই; যদি না শরিয়ত বিশেষ কোন ইবাদতের মাধ্যমে কিংবা সব ধরণের ইবাদতের মাধ্যমে বিশেষ সময়কে অন্য সময়ের উপর মর্যাদা দিয়ে থাকে সেটা ছাড়া। এ কারণে আলেমগণ রজব মাসে বেশি বেশি উমরা করার নিন্দা করেছেন।”[সমাপ্ত]

তবে, কেউ যদি বিশেষ কোন ফযিলতের বিশ্বাস না করে, ঘটনাক্রমে কিংবা সময় সুযোগের কারণে রজব মাসে উমরা পালন করে এতে কোন অসুবিধা নেই।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব