আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহএক:
যেসব প্রাণী খাওয়া জায়েয নয় যেমন- কুকুর, বিড়াল সেসব প্রাণীকে হালাল নয় এমন কিছু খাওয়ানো জায়েয আছে; যেমন- শূকরের গোশত।কেননা শূকরকে যবেহ করা হোক বা না-হোক শূকর মরা প্রাণী হিসেবে গণ্য।
ইমাম নববী তাঁর ‘মাজমু’গ্রন্থে (৪/৩৩৬) বলেন: কুকুর ও পাখিকে মরা প্রাণী খাওয়ানো জায়েয।চতুষ্পদ জন্তুকে নাপাক খাবার খাওয়ানো জায়েয।[সংক্ষেপিত ও সমাপ্ত] শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন: “মদ দিয়ে আগুন নেভানো জায়েয। বাজপাখি ও ঈগলকে মরা প্রাণী খাওয়ানো জায়েয। চতুষ্পদ জন্তুকে নাপাক পোশাক পরিধান করানো জায়েয। অনুরূপভাবে আলেমগণের প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী, নাপাক চর্বি দিয়ে বাতি জ্বালানো জায়েয। ইমাম আহমদ থেকে বর্ণিত দুইটি অভিমতের মধ্যে এ মতটি প্রসিদ্ধ। জায়েযের কারণ হলো-উল্লেখিত ক্ষেত্রে নাপাক জিনিস ব্যবহার করা সেগুলো ধ্বংস করার পর্যায়ভুক্ত এবং এতে ক্ষতির কিছু নেই।[আল ফাতাওয়াল কুবরা: ১/৪৩৩]
দুই:
আলাদাভাবে শুধু শূকরের গোশত অথবা অন্য কিছুর সাথে মিশ্রিত শূকরের গোশত বিক্রি করা নাজায়েয। দলিল হচ্ছে- সহিহ বুখারী (২২৩৬) ও সহিহ মুসলিম (১৫৮১)-এ জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাদিআল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মক্কাতে বলতে শুনেছেন “নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলমদ,মরা-প্রাণী, শূকর ও মূর্তি বিক্রয় হারাম করেছেন।”
ইমাম নববী (রঃ) বলেন: শিকারি-জন্তুকে মরা প্রাণী খাওয়ানো বৈধ; তবে তা বিক্রি করা বৈধ নয়।[আল মাজমু-৯/২৮৫]
শাইখ ইবনে উছাইমীন (রঃ) কে বিড়ালের জন্য প্রস্তুতকৃত শূকরের গোশত সম্বলিত কৌটাজাত খাদ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞেসা করা হয়েছিল- ‘এ জাতীয় খাদ্য ক্রয় করা ও বিড়ালকে খাওয়ানো জায়েয হবে কিনা’? তিনি উত্তরে বলেন, যদি এ জাতীয় কৌটাজাত খাদ্য ক্রয়ের ব্যাপার হয় তাহলে তা জায়েয হবে না। কেননা অর্থের বিনিময়ে শূকরের গোশত ক্রয় করা বৈধ নয়। তবে যদি কোথাও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে এবং তা সংগ্রহ করে বিড়ালকে খাইতে দেয়, তবে কোনো সমস্যা নেই। আল্লাহই ভাল জানেন।
আরও জানতে 5231 নং প্রশ্নোত্তর দেখুন।
এ আলোচনার ভিত্তিতে বলব, এমন খাদ্য তৈরির কাজ করা জায়েয হবে না যে খাদ্যে শূকর অথবা মরাপ্রাণীর গোশত আছে। কারণ এর দ্বারা হারাম ও গুনাহের কাজে সহায়তা করা হয়। কেননা এ খাদ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে -এ ধরণের খাদ্য বিক্রি করা হারাম। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন “সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরে সহযোগিতা কর। অসৎকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।”।[সূরা আল-মায়েদা: ২]
আল্লাহই ভাল জানেন।