আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।নফল রোজাপালনকারী নিজের উপর কর্তৃত্বশীল। তার জন্য রোজা পূর্ণ করা বা ভেঙ্গে ফেলার অবকাশ রয়েছে। তবে রোজা পূর্ণ করাটা উত্তম। ইমাম আহমাদ (হাদিস নং ২৬৩৫৩) উম্মে হানি (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর ঘরে প্রবেশ করে কোন পানীয় চাইলেন এবং নিজে পান করলেন। এরপর উম্মে হানিকে দিলেন; তিনিও পান করলেন। এরপর উম্মে হানি বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি তো রোজাদার ছিলাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “নফল রোজা পালনকারী নিজের উপর কর্তৃত্বশীল। চাইলে রোজা পূর্ণ করতে পারে; আর চাইলে ভেঙ্গে ফেলতে পারে।”[আলবানি হাদিসটিকে সহিহুল জামে গ্রন্থে (3854) সহিহ বলেছেন]
49610 নং প্রশ্নোত্তরটি দেখুন।
সুতরাং যে ব্যক্তি শাওয়ালের ছয় রোজা রেখেছে সে যদি রোজাটি ভেঙ্গে ফেলতে চায় ভেঙ্গে ফেলতে পারে। ভেঙ্গে ফেলাটা আহার করার মাধ্যমে হতে পারে; সহবাসের মাধ্যমেও হতে পারে; অন্য কোন ভাবেও হতে পারে।
এ নারী যদি স্বামীর বিনা অনুমতিতে রোজা রেখে থাকেন তাহলে স্বামীর অধিকার রয়েছে তাকে বিছানায় ডাকার এবং স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া তার উপর অনিবার্য। আর যদি স্ত্রী অনুমতি নিয়ে রোজা রেখে থাকে তাহলে স্ত্রীর রোজা নষ্ট করার অধিকার স্বামীর নেই। তবে স্বামী যদি সেটা চান তাহলে স্ত্রীর জন্য উত্তম হলো স্বামীর আহ্বানে সাড়া দেয়া।
শাইখ উছাইমীন বলেন: যদি কোন নারী স্বামীর অনুমতি নিয়ে রোজা রাখে তাহলে স্বামীর পক্ষে স্ত্রীর রোজা নষ্ট করা জায়েয হবে না। কারণ সে-ই তো রোজা রাখার অনুমতি দিয়েছে। তবে স্ত্রী যখন স্বামীর অনুমতি নিয়ে নফল রোজা রাখে এরপর স্বামী স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে এমতাবস্থায় স্ত্রীর জন্য কোনটা উত্তম: রোজা পালন করা; নাকি স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া? দ্বিতীয়টি অর্থাৎ স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া উত্তম। কারণ স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া মূলতঃ ফরজ পর্যায়ের আমল। আর নফল রোজা পালন করা মুস্তাহাব পর্যায়ের আমল। তাছাড়া স্বামীর তীব্র ইচ্ছা সত্ত্বেও স্ত্রী যদি এতে সাড়া না দেয় তাহলে তাদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে।[শাইখ উছাইমীনের ফতোয়াসমগ্র (২১/১৭৪)]
আল্লাহই ভাল জানেন।