আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
রোযা অবস্থায় ওযুর সময় মুখে পানি নেয়ার হুকুম কী?
আলহামদু লিল্লাহ।.
একজন মুমিন পরিপূর্ণভাবে ওযু করতে আদিষ্ট। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই মর্মে আদেশ করেছেন, তিনি বলেন: “ওযুকে পরিপূর্ণ করুন, আঙ্গুলগুলোর মাঝে খিলাল করুন, জোরালোভাবে নাকে পানি দিন; যদি না আপনি রোযাদার হন”।[সুনানে তিরমিযি (আস-সাওম/৭৮৮), সুনানে আবু দাউদ (১৪২), আলবানী ‘সহিহু সুনানিত তিরমিযি’ গ্রন্থে (৬৩১) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
এখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোযা অবস্থায় প্রকৃষ্টভাবে কুলি ও নাকে পানি দেয়া থেকে বিরত থাকার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন; যাতে করে এটি হারামের দিকে পর্যবসিত না করে। আর তা হলো রোযা অবস্থায় পানি পেটে চলে যাওয়া। কিন্তু রোযা অবস্থায় নিছক কুলি করায় কোন আপত্তি নেই; যদি রোযাদারের পেটে পানি চলে না যায়।
তাই উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর থেকে বর্ণিত সহিহ হাদিসে এসেছে যে, তিনি বলেন: একবার আমি রোযা অবস্থায় চাঙ্গাবোধ করে চুম্বন করলাম। তখন বললাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আজ আমি জঘন্য কিছু করে ফেলেছি। আমি রোযা রেখে চুম্বন করে ফেলেছি। তিনি বললেন: আপনি যদি রোযা রেখে কুলি করেন; তাহলে সেটাকে কেমন মনে করেন? আমি বললাম: অসুবিধা নাই। তিনি বললেন: তাহলে এই প্রশ্ন কেন?[সুনানে আবু দাউদ (সাওম অধ্যায়/২০৩৭), আলবানী সহিহ সুনানে দাউদ গ্রন্থে (২০৮৯) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
হাদিসটির ব্যাখ্যাকার বলেন: তাঁর বাণী: “আপনি যদি রোযা রেখে কুলি করেন; তাহলে সেটাকে কেমন মনে করেন”: এর মধ্যে চমৎকার ফিকাহ (সূক্ষ্মবোধ) এর দিকে ইঙ্গিত রয়েছে। সেটা হলো: কুলি করা রোযাকে ভঙ্গ করবে না। যেহেতু কুলি হলো পান করার পূর্বধাপ...।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।