আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
ইতিপূর্বে আপনারা 140603 নং প্রশ্নোত্তরে উল্লেখ করেছেন যে, ইসলামী ব্যাংকের জন্য তার কাস্টমারের উপর চুক্তিতে নির্ধারিত সময়সূচিমত কিস্তি পরিশোধ করা নিশ্চিত করার জন্য জরিমানা আরোপ করা জায়েয নয়। আমার প্রশ্ন হলো: আর্থিক জরিমানা ছাড়া শরিয়তে অন্য কোন বিকল্প আছে কি; যাতে করে ইসলামী ব্যাংকগুলো এ ধরণের স্থাবর সম্পত্তিগুলোর লেনদেনের ক্ষেত্রে কাস্টমারের উপর সেগুলো শর্ত করতে পারে এবং সময়মত কিস্তি আদায় নিশ্চিত করতে পারে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
যদি ব্যাংক কাস্টমারের কাছে কোন স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে তাহলে কিস্তি পরিশোধে বিলম্ব করায় কাস্টমারের উপর আর্থিক জরিমানার শর্তারোপ করা জায়েয নয়। যেহেতু কিস্তিগুলো কাস্টমারের উপর ঋণ। ঋণ পরিশোধে বিলম্বের কারণে জরিমানা করা সুদ। দেখুন: 89978 নং ও 112090 নং প্রশ্নোত্তর।
ব্যাংক তার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আর্থিক গ্যারান্টির শর্ত করা জায়েয। অর্থাৎ ব্যাংক অন্য একজন জামিনদার শর্ত করতে পারেন যার কাছ থেকে কিস্তি আদায় করতে পারবেন; যদি কাস্টমার কিস্তি পরিশোধে বিলম্ব করে কিংবা গড়িমসি করে।
অনুরূপভাবে ব্যাংক কোন কিছু বন্ধক রাখতে পারেন। এ বন্ধকের মধ্যে বিক্রিত পণ্যটিও হতে পারে। সেক্ষেত্রে মূল্য পরিশোধ করা অবধি এটি বন্ধক হিসেবে থাকবে; তবে কাস্টমারকে এটি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হবে। এর উপকারিতা হলো: কাস্টমার এটি বিক্রি করতে পারবে না। কাস্টমারকে এই শর্ত দেয়াও জায়েয যে, যদি সে কিস্তি দিতে অপারগ হয় তাহলে ব্যাংক বিচারকের শরণাপন্ন হওয়া ব্যতিরেকে বন্ধকটি বিক্রি করে দিতে পারবে।
অনুরূপভাবে ব্যাংকের অধিকার নিশ্চিত করার আরেকটি উপায় হচ্ছে: কাস্টমারের ব্যক্তিগত একাউন্টটি এই ব্যাংকে স্থানান্তর করা এবং বেতন জমা হওয়ার সাথে সাথে কিস্তির অর্থ কেটে নেয়ার ক্ষমতা ব্যাংককে দেয়ার শর্ত আরোপ করা।
এছাড়া আরও একটি বিকল্প হচ্ছে: কিস্তি দিতে বিলম্বকারী কাস্টমারকে কালো তালিকাভুক্ত করা এবং অন্য সকল ব্যাংকের সাথে কোন কালো তালিকাভুক্ত কাস্টমারের সাথে লেনদেন না করার চুক্তি করা।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।