আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
প্রশ্ন: ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করার হুকুম
আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।
মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা হজ্ব ও উমরার ওয়াজিব। অতএব যে ব্যক্তি হজ্ব বা উমরা করতে চায় সে ব্যক্তি স্থল, জল বা আকাশ যে পথে আগমন করুক না কেন তার জন্য ইহরাম ব্যতীত মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নেই।
শাইখ উছাইমীনকে ইহরাম ব্যতীত মীকাত অতিক্রম করার হুকুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন: যে ব্যক্তি ইহরাম ব্যতীত মীকাত অতিক্রম করেছে তার দুইটি অবস্থা হতে পারে। এক. সে ব্যক্তি হজ্ব বা উমরা পালনেচ্ছু ব্যক্তি হবে; সেক্ষেত্রে মীকাতে ফিরে যাওয়া তার উপর আবশ্যক। কারণ সেতো হজ্ব বা উমরা করতে চাচ্ছে। যদি সে মীকাতে ফিরে না যায় তাহলে সে একটি ওয়াজিব বর্জন করল। আলেমদের মতে তাকে ফিদিয়া দিতে হবে। তথা মক্কাতে একটি পশু যবেহ করে সেখানকার ফকীরদের মাঝে বণ্টন করে দিতে হবে। আর যে ব্যক্তি ইহরাম ব্যতীত মীকাত অতিক্রম করেছে কিন্তু সে হজ্ব বা উমরা পালনেচ্ছু নয় তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না। তার অবস্থানের সময় দীর্ঘ হোক অথবা সংক্ষিপ্ত হোক। যদি আমরা তার উপর মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা আবশ্যক করি তাহলে তো হজ্ব বা উমরা তার উপর একাধিকবার আদায় করা ফরজ হয়। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে- হজ্ব জীবনে একবারের বেশি ফরজ নয়। একবারের বেশি যে আদায় করবে সেটা নফল। যে ব্যক্তি ইহরাম ব্যতীত মীকাত অতিক্রম করেছে তার ব্যাপারে আলেমদের মতামতের মধ্যে এই মতটি সবচেয়ে অগ্রগণ্য। অর্থাৎ যদি হজ্ব বা উমরা পালনেচ্ছু না হয় তাহলে তার উপর কোন কিছু আবশ্যক হবে না এবং তাকে মীকাত হতে ইহরাম বাঁধতে হবে না।” [ফিকহুল ইবাদাত; পৃষ্ঠা-২৮৩ ও ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম; পৃষ্ঠা- ৫১৩] এই আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায় বিমান থেকে অবতরণ করার পর মীকাতে ফিরে যাওয়া আপনার উপর ওয়াজিব। যদি আপনি মীকাতে ফিরে না যান এবং মীকাত অতিক্রম করার পর ইহরাম বেঁধে থাকেন তাহলে আলেমদের অগ্রগণ্য মত হলো- একটি ছাগল যবেহ করে মক্কার ফকীরদের মাঝে বণ্টন করে দেয়া। আল্লাহই ভাল জানেন।