আলহামদু লিল্লাহ।.
সাধ্যানুযায়ী আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ফরজ। প্রাধান্য পাবে নিকটতর আত্মীয়; এরপর তার পরের স্থানে যারা রয়েছেন তারা। আত্মীয়তার হক আদায় করার মধ্যে প্রভুত কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হারাম ও কবিরা গুনাহ। দলিল হচ্ছে আল্লাহর বাণী: “ক্ষমতালাভকরলে, সম্ভবতঃতোমরাপৃথিবীতেঅনর্থসৃষ্টিকরবেএবংআত্নীয়তারবন্ধনছিন্নকরবে। এদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত করেন, অতঃপর তাদেরকে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেন।”[সূরা মুহাম্মদ, আয়াত: ২২, ২৩] এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “আত্মীয়তার সম্পর্কছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” [সহিহ মুসলিম] এছাড়াও এক ব্যক্তি যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমি কার সেবা করব? তিনি বললেন: তোমার মায়ের। লোকটি বলল: এরপর কার? তিনি বললেন: তোমার মায়ের। লোকটি বলল: এরপর কার? তিনি বললেন: তোমার মায়ের। লোকটি বলল: এরপর কার? তিনি চতুর্থবারে বললেন: তোমার বাবার। এরপর ক্রমধারায় অন্য নিকটাত্মীয়দের।[সহিহ মুসলিম] সহিহ হাদিসে আরও এসেছে- “যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তারা রুজি রোজগারে বরকত আসুক এবং মৃত্যুর পর তার সুনাম অটুট থাকুক সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে”।
এ অর্থবোধক হাদিস আরও অনেক রয়েছে। আপনার কর্তব্য হচ্ছে- সাধ্যানুযায়ী আত্মীয়তার হক করা। যদি সম্ভব হয় দেখতে যাওয়ার মাধ্যমে। কিংবা চিঠিপত্রের মাধ্যমে, কিংবা টেলিফোনের মাধ্যমে। নিকটাত্মীয় গরীব হলে সম্পদ খরচ করেও আত্মীয়তার হক আদায় করার বিধান রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন: “তোমরা সাধ্যানুযায়ী আল্লাহকে ভয় কর”আল্লাহ আরও বলেন: “আল্লাহ সাধ্যের বাইরে কারো উপর দায়িত্বারোপ করেন না।” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমি যখন তোমাদেরকে কোন নির্দেশ দেই তখন সাধ্যানুযায়ী তোমরা সে নির্দেশ পালন কর।”[সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম]
আল্লাহ সকলকে তাঁর সন্তুষ্টির কাজ করার তাওফিক দিন