আলহামদু লিল্লাহ।.
রুকিয়া শারইয়্যা নিয়ে যারা কাজ করেন তারা কিছু আলামতের কথা উল্লেখ করে থাকেন। যে আলামতগুলোর মাধ্যমে জানা যেতে পারে যে, ব্যক্তি জ্বিনের আছর দ্বারা আক্রান্ত কিংবা বদনজর দ্বারা আক্রান্ত। তবে এ আলামতগুলো অনুমাননির্ভর। আর আলামতগুলো কখনও কখনও না থাকতে পারে। আবার কখনও কখনও যেতে পারে বা কমে যেতে পারে।
জ্বিনের আছরের আলামতগুলো হলো:
১। আযান ও কুরআন তেলাওয়াত শুনা থেকে চরমভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয়া।
২। তার উপরে তেলাওয়াত করাকালে বেহুশ হয়ে পড়া, খিঁচুনি দেয়া কিংবা ধরাশায়ী হওয়া।
৩। বেশি বেশি ভয়ানক স্বপ্ন দেখা।
৪। একাকী ও নির্জনে থাকা এবং অদ্ভুত সব আচরণ করা।
৫। তার উপরে তেলাওয়াত করা হলে কখনও কখনও যে শয়তান তাকে আছর করেছে সে কথা বলে উঠা।
বদনজর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আলামত সম্পর্কে শাইখ আব্দুল আযিয আস-সাদহান বলেন: আলামতগুলো যদি শরীরের কোন অঙ্গের অসুস্থতার কারণে না হয় তাহলে সেগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত আঙ্গিকে প্রকাশ পেয়ে থাকে:
মাথার এক অংশ থেকে অপর অংশে স্থানান্তরিত মাথা ব্যথা। চেহারা হলুদ হয়ে যাওয়া। বেশি বেশি ঘাম দেয়া ও পেশাব হওয়া। রুচি কমে যাওয়া। হাতপায়ে ঝি ঝি ধরা ও হাতপা ঠাণ্ডা বা গরম হয়ে থাকা। হৃৎপিণ্ড ধড়পড় করা। পিঠের নিম্নাংশে ও ঘাঁড়ে ব্যথা হওয়া। ভারাক্রান্ত ও উদ্বিগ্ন হয়ে থাকা। রাতে ঘুম না হওয়া। অস্বাভাবিক ভয় থেকে কঠিন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা। বেশি বেশি ঢেকুর দেয়া, হাই তোলা ও শ্বাস ফেলা। নির্জনে ও একাকী থাকতে পছন্দ করা। বিষন্নতা ও অলসতা। ঘুমপ্রিয়তা। কোন ডাক্তারি কারণ ছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হওয়া।
বদনজরের শক্তি ও নজরদানকারীদের আধিক্যের অনুপাতে হতে পারে সবগুলো আলামত পাওয়া যাবে কিংবা কিছু আলামত পাওয়া যাবে [আর-রুকইয়্যা আশ-শারইয়্যা (পৃষ্ঠা-১০) থেকে সমাপ্ত]
আরও বেশি জানতে পড়ুন: 240 নং প্রশ্নোত্তর।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।