আলহামদু লিল্লাহ।.
হ্যাঁ; রোগ-বিমার, বিপদাপদ, দুশ্চিন্তা বা দুর্ভাবনা এমন যা কিছু ব্যক্তিকে পাকাড়ও করে এগুলো তার গুনাহ মার্জনাকারী (কাফ্ফারা); এমনকি একটি কাঁটা বিঁধলে সেটিও। এরপর যদি সে ধৈর্য ধারণ করে ও সওয়াব লাভের নিয়ত করে; তাহলে গুনাহ মাফের সাথে ঐ ধৈর্যের সওয়াবও পাবে যে ধৈর্যের মাধ্যমে সে এই মুসিবতটিকে মোকাবিলা করেছে। এই মুসিবত মৃত্যুর সময়ে হোক কিংবা মৃত্যুর পূর্বে হোক এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। মুমিনের জন্য বিপদ-মুসিবত গুনাহ মার্জনাকারী (কাফ্ফারা)। আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “তোমাদের যে বিপদ আসে তা তোমাদের কৃতকর্মের কারণে। তিনি তোমাদের অনেক অপরাধ ক্ষমাও করে দেন।”[সূরা শুরা, আয়াত: ৩০]
যদি বিপদাপদ আমাদের কৃতকর্মের কারণে হয় তাহলে এটি প্রমাণ করে যে, সে সব বিপদ আমাদের কৃত গুনাহর মার্জনাকারী (কাফ্ফারা)। তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, একজন মুমিনকে যে দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা ও কষ্ট পাকড়াও করে; এমনকি একটি কাঁটা বিঁধলেও সেটির মাধ্যমে আল্লাহ্ তার গুনাহ মার্জনা করেন।