শুক্রবার 21 জুমাদাল আউওয়াল 1446 - 22 নভেম্বর 2024
বাংলা

এটা কি সাব্যস্ত যে, কোন নারী নিজের বাসায় তার মাথার চুল খুলে রাখলে শয়তান তার চুল নিয়ে তামশা করে

প্রশ্ন

আমি কোন এক লোকের কাছে শুনেছি যে, কোন নারীর জন্য সারাক্ষণ তার চুল খুলে রাখা ভালো নয়; এমন কি সে যদি তার নিজের বাসায় একাকী হয় তবুও। কারণ হলো চুল বাঁধা না থাকলে শয়তান তার চুল নিয়ে তামশা করে। এর গূঢ়রহস্য কী? এ কথা শুনার পর থেকে আমি সারাক্ষণ আমার চুল বেঁধে রাখি; এমনকি যদি আমার চুল ভেজা হয় তবুও।

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

কোন নারীর জন্য তার মাহরামদের সামনে ও নারীদের সামনে এবং নিজের বাসায় একাকী থাকলে মাথার চুল খুলে রাখায় কোন গুনাহ নেই। এটি আলেমদের মধ্যে মতৈক্যপূর্ণ বিষয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানা থেকে আজ পর্যন্ত মুসলিম নারীরা এভাবে করে আসছেন।

কোন নারী নিজের বাসায় তার মাথার চুল খুলে রাখলে শয়তান তার চুল নিয়ে তামশা করে এমন দাবী মিথ্যা; যার পক্ষে কোন দলিল সাব্যস্ত হয়নি। এ ব্যাপারে কোন হাদিস কিংবা আছার উদ্ধৃত হয়নি। সুতরাং এমন কিছু দাবী করা, প্রমাণ করা কিংবা মানুষের মাঝে ছড়ানো জায়েয নয়। আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই সে বিষয়ে আলোকপাত করো নানিশ্চয় কর্ণ, চক্ষু ও আত্মা প্রত্যেকটি এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।[সূরা ইসরা বা বনী ইসরাইল ১৭: ৩৬]

শাইখ ইবনে উছাইমীন (রহঃ) কে নিম্নোক্ত প্রশ্নটি করা হয়েছিল:

যখন মুয়াজ্জিন নামাযের আযান দেয় তখন যদি কোন নারী তার নিজ বাাসায় কিংবা তার পরিবারের বাসায় কিংবা তার প্রতিবেশীর বাসায় চুল ছেড়ে রাখে; মাহরাম ছাড়া কিংবা নারীরা ছাড়া অন্য কেউ তাকে দেখতে না পায়; তাহলে এটি কি হারাম? এবং এ কারণে আযান চলাকালীন সময়ে ফেরেশতারা কি তার উপর লানত করতে থাকে?

জবাবে তিনি বলেন: এটি সঠিক নয়। কোন নারী নিজের মাথার চুল খুলে রাখতে পারেন যদি কোন গায়রে মাহরাম লোক তাকে না দেখে। কিন্তু তিনি যদি নামায আদায় করতে চান তখন চেহারা ছাড়া গোটা দেহ ঢাকা তার উপর আবশ্যকীয়। তবে অনেক আলেম হাতের কব্জিদ্বয় ও পাদ্বয় উন্মুক্ত রাখার রুখসত (সুযোগ) থাকার কথাও ব্যক্ত করেছেন। তবে সতর্কতা হলো: চেহারা ছাড়া সেগুলোও ঢেকে রাখা। চেহারা খোলা রাখতে কোন আপত্তি নেই। এটি সেক্ষেত্রে যদি তার পাশে কোন গায়রে মাহরাম কেউ না থাকে। যদি থাকে তাহলে অবশ্যই চেহারা ঢেকে রাখতে হবে। কেননা স্বামী ও মাহরাম ছাড়া অন্য কারো সামনে মুখ খোলা রাখা তার জন্য জায়েয নয়।[সমাপ্ত]

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব