আলহামদু লিল্লাহ।.
এক:
কোন মুসলিম নর বা নারীর জন্য অমুসলিম দেশে থাকা জায়েয নয়; তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে জায়েয। মুসলিম নারীর ক্ষেত্রে অমুসলিম দেশে থাকার নিষেধাজ্ঞা আরও বেশি জোরদার হয় যদি তিনি মাহরাম ছাড়া সেই দেশে সফর করেন। যেহেতু এই অবস্থানের মাধ্যমে ব্যক্তির দ্বীনদারি ও আখলাকের উপর অনেক ঝুঁকি রয়েছে।
দুই:
যদি বাসার মালিক ভাড়াটিয়ার ওপর এ শর্তারোপ করে যে, ভাড়াটিয়াকে নিজে সেখানে থাকতে হবে এবং তার সাথে কাউকে থাকতে দেয়া যাবে না; তাহলে এই শর্ত পূর্ণ করা আবশ্যকীয়।
যেহেতু চুক্তি ও অঙ্গীকারসমূহের শর্ত পূরণ করতে মুসলমানেরা বাধ্য। আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা চুক্তিগুলো পূর্ণ কর”।[সূরা মায়িদা, আয়াত: ০১]
এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “মুসলমানেরা তাদের শর্তের উপর বলবৎ”।[সুনানে আবু দাউদ (৩৫৯৪), আলবানী ‘সহিহ আবু দাউদ’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
যদি ভাড়ার চুক্তিতে কাউকে মেহমান হিসেবে রাখতে বাধা না থাকে; তাহলে আপনি তাকে কিছুদিন মেহমান হিসেবে রাখতে পারেন যাতে করে এই সময়ের মধ্যে সে নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারে এবং অন্যত্র কোন বাসা খুঁজে নিতে পারে।
এ ব্যাপারে আপনি ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিতে পারেন ও তাকে জানিয়ে রাখতে পারেন; যাতে করে কোন সমস্যা এড়ানো যায়।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।