শুক্রবার 21 জুমাদাল আউওয়াল 1446 - 22 নভেম্বর 2024
বাংলা

কোন কাজ করার সময় গান শুনা কি সে কাজের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদকে হারামে পরিণত করবে

প্রশ্ন

খুব সংক্ষেপে বলতে চাই; আমি কিছু শরীর চর্চা করি। কখনো কখনো অন্য কোন কাজ করি যেমন- প্রোগ্রামিং। আমি জানি, গান শুনা হারাম। কিন্তু আমি যদি এ জাতীয় কাজগুলো করার সময় গান শুনি সেটা কি এ কাজগুলোকে হারামে পরিণত করবে? অর্থাৎ আমি প্রোগ্রামিং করাকালে যদি গান শুনি এতে করে এ প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ কি হারাম হয়ে যাবে? জাযাকুমুল্লাহু খাইরা (আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন)।

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

বাদ্যযন্ত্রসহ গান করা, গান শুনা সেটা নারীর কণ্ঠে হোক কিংবা পুরুষের কণ্ঠে হোক, সে গান আবেগী হোক কিংবা বীরত্বমূলক হোক কিংবা ধর্মীয় হোক সেটি হারাম। এ মূল বিধান থেকে শুধুমাত্র বিয়ে, ঈদ ও নিরুদ্দেশ ব্যক্তির ফিরে আসা উপলক্ষে দফ (আরবী) নামক বাদ্যযন্ত্রসহ গান গাওয়ার বৈধতা থাকবে। 

আর গানে যদি বাদ্যযন্ত্র না থাকে; তবে সে গান যদি কোন নারী পুরুষদের জন্য পরিবেশন করে থাকে তাহলে সেটাও হারাম। আর যদি কোন পুরুষ এমন কোন বৈধ কথা দিয়ে গান গায়; উদাহরণত মিউজিকবিহীন ইসলামী গান তাহলে সেটা জায়েয। কিন্তু তা সত্ত্বেও মাত্রাতিরিক্ত গান শুনা ও গান নিয়ে ব্যস্ত থাকা উচিত নয়।

একাধিক আলেম মিউজিক শুনা হারাম হওয়া সম্পর্কে ইজমা বর্ণনা করেছেন। 

দুই:

যে ব্যক্তি নিজস্ব কাজ করাকালে কিংবা ব্যায়াম করাকালে কোন হারাম গান শুনে সে ব্যক্তি গান শুনার কারণে গুনাহগার হবে। কিন্তু সেটা তার কাজের উপর কিংবা তার ব্যায়ামের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না। তাই সে ব্যক্তি যদি বৈধ কোন প্রোগ্রামিং করে অর্থ উপার্জন করে তার সে অর্থ হালাল। কারণ সে অর্থ বৈধ কাজের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। সে বৈধ কাজটি হচ্ছে- প্রোগ্রামিং।

তবে, বুদ্ধিমান লোকের উচিত সময়টাকে কাজে লাগানো, আল্লাহর যিকিরে ব্যস্ত থাকা, কিংবা কুরআন তেলাওয়াত শুনা কিংবা ব্যায়ামের সময় দরকারি কথাবার্তায় সময় কাটানো। এর মাধ্যমে শত শত নেকি হাছিল করা যায়। পক্ষান্তরে, মিউজিক ও গান শুনার মাধ্যমে সময় নষ্টের সাথে সাথে শত শত পাপ অর্জিত হয়, ভাল সুযোগগুলো নষ্ট হয়। অথচ কুরআন ও যিকির হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে, আত্মাকে প্রশান্ত করে, স্থানকে পবিত্র করে। অতএব, রহমানের বাণী ও শয়তানের বীণার মাঝে কি কোন তুলনা চলে!

আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আপনার হৃদয়কে আলোকিত করে দেন, আপনার গুনাহগুলো পাপ করে দেন এবং আপনাকে নেকি অর্জন ও তাঁর নৈকট্যের আমলে ব্যস্ত রাখেন।

আল্লাহই ভাল জানেন।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব