আলহামদু লিল্লাহ।.
কাফেরদেরকে সম্পদের যাকাত, ফলফলাদির যাকাত বা যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) দেয়া নাজায়েয; এমনকি তারা যদি দরিদ্র হয়, মুসারিফ হয় কিংবা ঋণগ্রস্ত হয় তবুও। তাদেরকে যাকাত দিলে যাকাত পরিশোধ হবে না।
গরীব কাফেরকে ওয়াজিব সদকা (যাকাত, মানতের সদকা) থেকে নয়; বরং সাধারণ সদকা থেকে দেয়া যাবে। তাদের মনকে আকৃষ্ট করার জন্য তাদের সাথে উপহার আদান-প্রদান করা যাবে; যদি তাদের পক্ষ থেকে এমন কোন সীমালঙ্ঘন না ঘটে থাকে যা তাদের সাথে এমন আচরণ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়। যেহেতু আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের ঘরবাড়ি থেকে বের করে দেয়নি, তাদের সাথে সদাচার করতে ও তাদের প্রতি ন্যায়-বিচার করতে আল্লাহ্ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ্ ন্যায়বিচারকারীদের ভালোবাসেন”।[সূরা মুমতাহিনা, আয়াত: ৮]
আল্লাহই তাওফিকদাতা। আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার, পরিজন ও সাহাবীবর্গের প্রতি আল্লাহ্র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।
[স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র (১০/৩০) থেকে সমাপ্ত]
কাফেরদেরকে দেয়ার জন্য যাকাতের একটি খাত আছে। সেটা হলো তাদের মধ্যে যারা (ইসলামের দিকে) মন আকৃষ্ট করার টার্গেটভুক্ত শ্রেণী। এই খাত থেকে দেয়া যাবে তাদেরকে যারা তাদের গোত্রের মধ্যে নেতৃত্বস্থানীয়; যদি যাকাত দিলে তারা ইসলাম গ্রহণ করার আশা থাকে এবং এরপর তাদের অধীনস্থদেরও ইসলাম গ্রহণ করার আশা থাকে।
আল্লাহ্ই তাওফিকদাতা।