আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।সিলাতুর রেহেম বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ও দেখতে যাওয়ার ক্ষেত্রে রক্ত সম্পর্কের আত্মীয় ও দুগ্ধ সম্পর্কীয় আত্মীয় সম পর্যায়ের নয়। দুগ্ধ সম্পর্কীয় আত্মীয়দের সাথে রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দের মত সম্পর্ক রক্ষা করা ও দেখতে যাওয়া ফরজ নয়।
শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন: আত্মীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে দুগ্ধ সম্পর্ক রক্ত সম্পর্কের মত নয়। রেহেম বা আত্মীয়তা রক্ষার বিষয়টি নিকটাত্মীয়দের সাথেই সম্পৃক্ত।[শাইখ বিন বাযের ফতোয়াসমগ্র থেকে সংকলিত (২২/২৮১)]
শাইখ ইবনে উছাইমীন বলেন: ... রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়দের চারটি বিধান দুগ্ধ সম্পর্কীয় আত্মীয়দের জন্যেও সাব্যস্ত হয়। এগুলো ছাড়া রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দের অন্য বিধানগুলো দুগ্ধ সম্পর্কীয় আত্মীয়দের জন্যে সাব্যস্ত হবে না। আর্থিক খরচ দেওয়ার হুকুম সাব্যস্ত হবে না। তাই কোন ব্যক্তির উপর তার দুগ্ধজাত মেয়ের খরচ চালানো ওয়াজিব নয়; যেমনটি তার ওয়ারিশজাত মেয়ের খরচ চালানো ওয়াজিব। মিরাস বা পরিত্যক্ত সম্পত্তির বিধান সাব্যস্ত হবে না। তাই দুগ্ধজাত মেয়ে তার থেকে মিরাছ পাবে না। দুগ্ধজাত আত্মীয়ের ক্ষেত্রে ভুলক্রমে সংঘটিত হত্যা কিংবা ভুলের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হত্যার দিয়ত প্রদানের বিধান সাব্যস্ত হবে না। সিলাতুর রেহেম বা নিকটাত্মীয়দের সাথে আত্মীয়তা রক্ষার বিধানও দুগ্ধজাত আত্মীয়ের ক্ষেত্রে সাব্যস্ত হবে না। অতএব, রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দের সকল বিধান দুগ্ধজাত আত্মীয়দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। শুধু চারটি বিধান প্রযোজ্য হবে। সেগুলো হচ্ছে- বিয়ে, পর্দা, নির্জনে সাক্ষাত ও মোহরেম হওয়া ।[আশ-শারহুল মুমতি (১৩/৪৪২) থেকে সমাপ্ত]
স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্রতে (২৫/২৭২) এসেছে-
আমার কয়েকজন দুধ-মা রয়েছে। অতীতে আমি তাঁদের ব্যাপারে কিছুই করিনি; যেমন- তাদেরকে গিফট দেয়া কিংবা এ জাতীয় কিছু। অতীত ও ভবিষ্যতে তাদের ব্যাপারে আমার করণীয় কী?
জবাব: তাদের ব্যাপারে আপনার করণীয় হচ্ছে- তাদেরকে দেখতে যাওয়া, তাদেরকে সালাম করা, তাদের জন্য দুআ করা। যদি আপনি তাদেরকে কিছু গিফট করেন সেটা ভাল। আর যদি কিছু না দিতে পারেন তাতেও কোন অসুবিধা নেই।[সমাপ্ত]
অতএব, আবশ্যক হওয়ার বিবেচনা থেকে আপনার দুধ ভাতিজিদেরকে দেখতে যাওয়া আপনার উপর ওয়াজিব বা আবশ্যকীয় নয়। কিন্তু আপনি যদি তাদেরকে দেখতে যান সেটা ভাল এবং সেজন্য ইনশাআল্লাহ সওয়াব পাবেন; যেহেতু আপনার মাঝে ও তাদের পিতার মাঝে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক রয়েছে। ইতিপূর্বে 4005 নং ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে- যে ব্যক্তির সাথে অন্য ব্যক্তির দুগ্ধগত সম্পর্ক আছে তার সাথে ভাল সম্পর্ক রাখা মুস্তাহাব।
যে সকল আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা ফরজ সে বিষয়ে আরও জানতে 75057 নং ফতোয়া দেখুন।
আল্লাহই ভাল জানেন।