আলহামদু লিল্লাহ।.
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আদল(عَدْل) এরশাব্দিকঅর্থমুস্তাক্বীম(সরল, সোজা)।এটিবক্রতার বিপরীত।
শরিয়তের পরিভাষায়: আদলহলেন সেই ব্যক্তি যিনি সমস্ত ফরজ পালন করেন,কোন কবিরা গুনাতে লিপ্ত ননএবংউপর্যুপরিসগিরা গুনাতেওলিপ্ত নন।
ফরজপালনকরারঅর্থহল- ফরজ ইবাদতসমূহ আদায় করা। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামায। কবিরাগুনাহনাকরারঅর্থ-নামিমাহ্ (চোগলখুরী), গিবত (অপরেরঅগোচরেপরনিন্দা)ইত্যাদি কবিরা গুনাহ না করা। সেই ব্যক্তির মধ্যে আদল হওয়ার সাথে সাথে আরোযে শর্ত থাকতে হবে তা হলো:
সেই ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি প্রখর হতে হবে। যাতে করে তার দাবীর সত্যতার পক্ষে সম্ভাবনা বেশি থাকে। দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হলে আদল হওয়া সত্ত্বেও তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়ায়তার সাক্ষ্যেভুল হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। এই শর্তটিরপক্ষেদলীলহলো-আল্লাহ তাআলা কোন কাজের দায়িত্ব দেয়ার জন্য শক্তি ও আমনতদারিতাকে উপযুক্তবৈশিষ্ট্যহিসেবেবিবেচনাকরেছেন।মূসা আলাইহিসসালামেরসাথেমাদইয়ানের(এক বৃদ্ধ) অধিবাসীরকাহিনীতেতারদুইমেয়েরএকজনবলেছিলেন:
يا أبت استأجره إن خير من استأجرت القوي الأمين [28 القصص : 26]
“আব্বু,ইনাকে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজে নিয়োগ করুন।পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কারও থেকে কাজ নিতে চাইলে এমন ব্যক্তিই উত্তম যে শক্তিশালী ও আমানতদার।”[২৮ সূরা আল-ক্বাসাস: ২৬] ইফরিত নাম্নী যে জ্বিনসাবা রাজ্যেররানীর সিংহাসনউঠিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলসেবলেছিল:
وإني عليه لقوي أمين [27 النمل : 39]
“এবং নিশ্চয়ই আমি এ ব্যাপারে শক্তিবান ও আমানতদার।”[২৭ সূরা আন নাম্ল : ৩৯]
তাই(শক্তিও আমানতদারিতা) এদুইটি গুণ থাকা যেকোন দায়িত্বপ্রাপ্তিরপ্রধান দুটি শর্ত।সাক্ষ্যপ্রদানও এমনি একটি গুরু দায়িত্ব। [আশ-শার্হ আল-মুমতি‘ (৬/৩২৩)]আরওজানতেদেখুনআল-মূসূ‘আহআল-ফিক্বহিয়্যাহ (ফিক্বহীএনসাইক্লোপিডিয়া) (৫/৩০),
প্রকাশনায়: কুয়েত।