আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।যদি এ হাসপাতাল থেকে গরীব-মিসকীনরা সেবা পায়, যেমনটি আপনি উল্লেখ করেছেন তাহলে এখানে দান-সদকা করতে কোন অসুবিধা নেই; যাতে করে হাসপাতালটি সফল হয় ও চালু থাকে। বিশেষতঃ যেহেতু হাসপাতালকে সরকার অনুদান দেয় না।
এ লোকের ব্যাপারে সর্বোচ্চ যা বলা যায় সেটা হচ্ছে- লোকেরা সাধ্যানুযায়ী সম্পদের উপর থেকে এ লোকের কর্তৃত্ব প্রতিহত করার চেষ্টা করবে; সেটা ভাল কোন মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে হোক কিংবা জোরালো সামাজিক চাপ তৈরী করার মাধ্যমে হোক কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে হোক।
যদি সম্পদের উপর ও রোগীদের অধিকারের উপর তার সীমালঙ্ঘন প্রতিহত করা সম্ভবপর না হয় তাহলে কোনটা কল্যাণ সেটা দেখতে হবে:
যদি হাসপাতালকে দান করার মধ্যে কল্যাণের দিক প্রবল অগ্রগণ্য হয় এবং হাসপাতালের উপকারের পরিধি ব্যাপক হয় এবং এ লোকের দ্বারা যে আর্থিক দুর্নীতি হয় সেটা মানুষের যে সেবা ও রোগীদের যে চিকিৎসা দেয়া হয় সেটার তুলনায় তুচ্ছ হয় সেক্ষেত্রে এই হাসপাতালে দান করতে কোন অসুবিধা নেই।
আর যদি দান হিসেবে কোন সামগ্রী দেয়া যায় যেমন- ঔষধ, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি তাহলে এ লোকের অনিষ্ট প্রতিহত করা সম্ভব, কিংবা কমানো সম্ভব; সে ক্ষেত্রে সামগ্রীর মাধ্যমে দান করাটাই অধিকতর উত্তম হবে।
আর যদি কেউ সাবধানতা অবলম্বন করে তার দানের অর্থ নিজে সরাসরি গরীবদেরকে দিতে চায়, যাতে করে সেটা গরীবদের কাছে পৌঁছার ব্যাপারে ব্যক্তি নিজে নিশ্চিত হতে পারে তাতেও কোন অসুবিধা নেই। যেহেতু গরীব ও নিঃস্ব রোগীর সংখ্যা অনেক; যারা এই হাসপাতালে আসেন কিংবা অন্য কোন হাসপাতালে যান। কিংবা রোগী নন এমন গরীব-মিসকীনও।
শাইখ উছাইমীনকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, আমাদের বিভাগে ‘জামইয়্যা খাইরিয়্যা’ (দাতব্য সংস্থা) এর একটি শাখা আছে। আমার সম্পদের যাকাতের কিছু অংশ এ প্রতিষ্ঠানে দেয়া কি জায়েয হবে?
জবাবে তিনি বলেন: এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ যদি দ্বীনদারি ও ইলমি দিক থেকে নির্ভরযোগ্য হন তাহলে তাদেরকে আপনার যাকাতের কিছু অংশ সমর্পণ করতে কোন আপত্তি নেই। আপনি তাদেরকে জানিয়ে দিবেন যে, এটা যাকাতের মাল; যাতে করে তারা এই অর্থ সাধারণ সদকা হিসেবে বিতরণ না করে।
আর আপনি যদি তাদের সম্পর্কে না জানেন তাহলে উত্তম হচ্ছে- আপনার যাকাত আপনি নিজে বিতরণ করবেন। বরং সাধারণ বিধান হচ্ছে- নিজে বিতরণ করাটাই উত্তম। কেননা ব্যক্তি নিজের যাকাত নিজেই আদায় করবে, সেটা যাকাতের হকদারদের কাছে পৌঁছার ব্যাপারে সুনিশ্চিত হবে, এটি পৌঁছাতে গিয়ে যে কষ্ট সে শিকার করবে সেটার জন্য সে সওয়াব পাবে– এটা অধিকতর উত্তম অন্য কাউকে দিয়ে যাকাতের সম্পদ বিলি করানোর চেয়ে।[ফাতাওয়া ‘নুরুন আলাদ দারব’ (৭/৪০৮) থেকে পরিমার্জিত ও সমাপ্ত]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।