আলহামদু লিল্লাহ।.
কোন কোম্পানি বা ফ্যাক্টরি গ্রাহকের জন্য প্রোডাক্ট তৈরী করে সে প্রোডাক্টের গায়ে ফ্যাক্টরির নামের পরিবর্তে "বাণিজ্যিক মার্কা" বা "ট্রেডমার্ক" হিসেবে গ্রাহকের নাম লিখতে কোন বাধা নাই; যদি তা প্রতারণা ও জালিয়াতি মুক্ত হয়। প্রকৃতপক্ষে উক্ত গ্রাহক প্রোডাক্টটি অন্যের কাছ থেকে বানিয়ে এনেছে। কিন্তু প্রোডাক্টটি সে নিজে তৈরী করেছে বা নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে বানিয়েছে— অন্যদেরকে এমন ধোঁকা দেয়া নাজায়েয। কারণ এটি প্রতারণা ও মিথ্যা দাবী। রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "নিজেকে অতিরঞ্জিতভাবে প্রকাশকারী দুই খণ্ড মিথ্যার কাপড় পরিধানকারী (অর্থাৎ মিথ্যাবাদী)-র মত।"
প্রস্তুতকারকের জন্য অর্থের বিনিময়ে কিংবা বিনামূল্যে অন্য কাউকে তার ট্রেডমার্ক বা বাণিজ্যিক মার্কা দেয়া জায়েয আছে; তবে শর্ত হচ্ছে এতে কোন জালিয়াতি বা প্রতারণা থাকতে পারবে না।
১৪০৯ হিঃ (১৯৮৮খ্রিঃ)তে কুয়েতে অনুষ্ঠিত "ইসলামী ফিকাহ একাডেমী"-র পঞ্চম অধিবেশনের সিদ্ধান্তবলীতে এসেছে:
এক: বাণিজ্যিক নাম, বাণিজ্যিক শিরোনাম (ট্রেডমার্ক, গ্রন্থায়ন, উদ্ভাবন বা আবিষ্কার): এগুলো এর মালিকদের ব্যক্তিগত স্বত্ব। সমকালীন প্রথায় এর বিবেচনাযোগ্য আর্থিক মূল্য রয়েছে; যার জন্য মানুষ বিনিয়োগ করতে পারে। শরিয়তে এ স্বত্বগুলো বিবেচনাযোগ্য। তাই এ স্বত্বগুলো লঙ্ঘন করা নাজায়েয।
দুই:
বাণিজ্যিক নাম, বাণিজ্যিক শিরোনাম বা ট্রেডমার্ক আর্থিক স্বত্ব হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এগুলো লেনদেন করা এবং অর্থের বিনিময়ে এর কোনটিকে হস্তান্তর করা জায়েয; যদি এতে ধোঁকাবাজি, প্রতারণা ও জালিয়াতি না থাকে।
তিন:
গ্রন্থায়ন, উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের স্বত্বগুলো শরিয়তে সংরক্ষিত। এগুলোর স্বত্বাধিকারীগণের লেনদেন করার অধিকার রয়েছে এবং এগুলো ভঙ্গ করা নাজায়েয।[একাডেমীর "ম্যাগাজিন" সংখ্যা-৫, খণ্ড-৩ পৃষ্ঠা-৭৬২২ থেকে সমাপ্ত]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।