আলহামদু লিল্লাহ।.
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরজন্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লামএরআদর্শ ছিল তিনি রমজানমাসেবিভিন্নধরণের ইবাদতবেশিবেশি পালন করতেন। রমজানের রাতে জিবরাইল আলাইহিস সালাম তাঁরসাথেকুরআন অধ্যয়নকরতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনিতেই সবচেয়ে বেশি দানশীল ব্যক্তি ছিলেন।এর সাথে জিবরাঈল (আঃ) যখনতাঁরসাথেদেখাকরতেনতখন তিনি বহমানবাতাসেরচেয়েওবেশিদানশীলহয়েযেতেন। তাঁর দানশীলতাসবচেয়েবেশিপ্রকাশ পেত রমজান মাসে।এ মাসে তিনিবেশিবেশি দান-সদকা করতেন, অন্যের প্রতি ইহসান করতেন,কুরআন তেলাওয়াত করতেন, নামাযআদায় করতেন, যিকিরওইতিকাফ করতেন। এইমহানমাসেএসবইবাদতপালন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম এরআদর্শ।
কিন্তু কুরআন তেলাওয়াত ও নফল নামায আদায় দুটোর মধ্যে কোনটাকে প্রাধান্য দেয়া হবে এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভিন্ন হতে পারে। এর সঠিক মূল্যায়ন আল্লাহ করবেন; কারণ তিনি সর্ববিষয়ে জ্ঞাত। [শাইখ আব্দুল আযীযবিন বাযরচিত ‘আল জওয়াবুস্সহীহমিনআহকামি সালাতিললাইলিওয়াত তারাউয়ীহ’ (পৃঃ৪৫) শীর্ষকবইহতেসংকলিত ]
বিশেষকোন একটা আমল নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির জন্য উত্তম হতে পারে। আবার অন্য ব্যক্তির ক্ষেত্রে অন্য কোন আমল উত্তম হতে পারে। এটি নির্ভর করবে কোন আমলটি ব্যক্তিকে আল্লাহর অধিক নৈকট্য হাছিল করিয়ে দেয়। কোন কোন মানুষ নফল নামায পড়াকালে বেশ খুশুখুযু অবলম্বন করতে পারেন। যার ফলে অন্য আমলের তুলনায় এ আমলের মাধ্যমে তিনি আল্লাহ তাআলার নৈকট্য বেশি হাছিল করতে পারেন। তাই এ আমল পালন করা তার জন্য অধিক উত্তম।
আল্লাহই সবচেয়েভালোজানেন।