আলহামদু লিল্লাহ।.
যে ব্যক্তির রোযা রাখার অক্ষমতা চলমান সে ব্যক্তির উপর প্রতিটি রোযার বদলে একজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়ানো আবশ্যক। যেহেতু আল্লাহ্তাআলা বলেছেন: “আর যাদের জন্য সিয়াম কষ্টসাধ্য তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদিয়া দেয়া তথা একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করা।”[সূরা বাক্বারা, আয়াত: ১৮৪] ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন: “এ আয়াতটি রহিত নয়। বরং এমন ব্যক্তি হচ্ছে- বয়োবৃদ্ধ পুরুষ ও নারী; যারা রোযা রাখতে পারে না। সেক্ষেত্রে তারা প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াবেন।”[সহিহ বুখারী (৪৫০৫)]
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন:
“খাদ্য খাওয়ানোর পদ্ধতি দুটো:
এক. খাদ্য প্রস্তুত করে ভাংতি রোযার দিনসংখ্যক মিসকীনকে দাওয়াত করে খাওয়ানো; যেমনটি আনাস (রাঃ) বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর করেছিলেন।
দুই. রান্না না করে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে দেয়া।”[আশ্শারহুল মুমতি’ (৬/৩৩৫) থেকে সমাপ্ত]
আরও জানতে দেখুন: 49944 নং প্রশ্নোত্তর।
আর একজন মিসকীনকে ত্রিশদিন খাওয়ানোর প্রসঙ্গে অনেক আলেম দ্ব্যর্থহীনভাবে উল্লেখ করেছেন যে, তা জায়েয। এটি শাফেয়ি ও হাম্বলি মাযহাব এবং একদল মালেকী আলেমের অভিমত।
আল-ইনসাফ গ্রন্থে (৩/২৯১) বলেছেন:
“একজন মিসকীনকে একবারে খাদ্য দিয়ে দেয়াও জায়েয।”[সমাপ্ত]
দেখুন: তুহফাতুল মুহতাজ (৩/৪৪৬), কাশ্শাফুল ক্বিনা (২/৩১৩)
স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্রতে (১০/১৯৮) এসেছে:
“যদি ডাক্তারগণ বলেন যে, যেই রোগে আপনি ভুগছেন এই রোগ থেকে সুস্থতার আশা নেই এবং এর কারণে আপনি রোযা রাখতে পারবেন না— তাহলে আপনার উপর আবশ্যক হল প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীনকে অর্ধ সা’ স্থানীয় খাদ্যদ্রব্য প্রদান করা; সেটি খেজুর হতে পারে কিংবা অন্য কিছু হতে পারে।”[সমাপ্ত]
এর মাধ্যমে আপনি জানলেন যে, একজন মিসকীনকে ত্রিশদিন খাওয়ানো কিংবা ত্রিশজন মিসকীন একদিন খাওয়ানো উভয়টি জায়েয।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।