আলহামদু লিল্লাহ।.
প্রকৃত ইসলাম মানে ইসলামের সকল হুকুম-আহকাম মেনে চলা। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- নামায। যেহেতু নামায হচ্ছে- ইসলাম ধর্মের ভিত্তিমূল। কেয়ামতের দিন বান্দাকে সর্বপ্রথম নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নামায হচ্ছে- ঈমানদার ও কাফেরের মাঝে পার্থক্যকারী অঙ্গীকার। সুতরাং যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে সে কাফের। তাই আপনার অপরিহার্য কর্তব্য হচ্ছে- যথাসময়ে নামায আদায় করা এবং এ ব্যাপারে কোনরূপ অবহেলা না-করা।
এরপর শরিয়তের অন্যসব বিধিবিধান পালন করাও আপনার কর্তব্য। যেমন- হিজাব। যেসব উপায় উপকরণ গ্রহণ করলে ইসলামি বিধিবিধান পালন করা সহজ হয় তার মধ্যে রয়েছে- কুরআন তেলাওয়াত করা, নবীর সিরাত পড়া, নেককারদের জীবনী ও তাদের বিভিন্ন ঘটনা পড়া এবং আমরা আপনাকে কিছু মুসলিম সৎ বান্ধবী নির্বাচন করার উপদেশ দিচ্ছি। সৎসর্গের মাধ্যমে আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি ইসলামের উপর অবিচল থাকতে পারবেন।
প্রিয় বোন, আপনার উচিত হবে- আত্মসমালোচনা করা। আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, আগামী কালের জন্যে সে কি প্রেরণ করে, তা চিন্তা করা। আল্লাহকে ভয় করতে থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে খবর রাখেন।”[সূরা হাশর, ৫৯:১৮] এই আয়াতে দুই দুই বার আল্লাহকে ভয় করার (তাকওয়ার) নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং এ দুই নির্দেশের মাঝে আত্মসমালোচনা করার আদেশ দেয়া হয়েছে। সুতরাং ভেবে দেখুন, আগামীকালের জন্য আপনি কি কি ভালকাজ করেছেন এবং কি কি মন্দকাজ পরিহার করেছেন। এই আত্মসমালোচনা নিজেকে পরিবর্তন করার সবচেয় বড় উপায়। কেয়ামতের দিন বড় কঠিন, অতি দীর্ঘ, চরম ভীতিপ্রদ, সেই দিন চেহারাগুলো ফ্যাকাশে হয়ে যাবে। সুতরাং ভেবে দেখুন আপনি সেই দিনের জন্য কী কী নেক আমল প্রস্তুত করতে পেরেছেন। বেশী বেশী নেক আমল করুন। নিয়্যতকে একনিষ্ঠ করুন। সব ধরনের পাপাকার্য ছেড়ে দিন। পাপ কামাই হচ্ছে- সেদিনের সবচেয়ে মন্দ প্রস্তুতি। আপনি আপনার সবচেয়ে ভাল আমল নিয়ে আখেরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার চেষ্টা করুন। আল্লাহর নিকট দোয়া করতে ভুলে যাবেন না। যেন আল্লাহ আপনাকে সরল পথের হেদায়েত দেন এবং এর উপর আপনাকে অবিচল রাখেন।
আমরা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য ও আপনার জন্য তাওফিক প্রার্থনা করছি, হেদায়েত ও ভাল মৃত্যুর দোয়া করছি। আমাদের নবী মুহাম্মদ এর উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।