বৃহস্পতিবার 6 জুমাদাল আউওয়াল 1446 - 7 নভেম্বর 2024
বাংলা

যিলহজ্জ মাসের আটদিন রোযা রাখা হজ্জপালনকারী ও সাধারণ মুসলমান সকলের জন্য মুস্তাহাব

প্রশ্ন

প্রশ্ন: হজ্জপালনকারীর জন্য যিলহজ্জ মাসের প্রথম আটদিন রোযা রাখার হুকুম কি? উল্লেখ্য, আমি জানি যে, আরাফার দিন রোযা রাখা মাকরুহ।

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

যিলহজ্জ মাসের প্রথম আটদিন রোযা রাখা হজ্জপালনকারী ও হজ্জপালনকারী নয় সকলের জন্য মুস্তাহাব। দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “অন্য যে কোন সময়ের নেক আমলের চেয়ে এ দশদিনের নেক আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। তারা (সাহাবীরা) বলেন: আল্লাহর পথে জিহাদও নয়!! তিনি বলেন: আল্লাহর পথে জিহাদও নয়; তবে কোন লোক যদি তার জানমাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে এবং কোন কিছু নিয়ে ফেরত না আসে সেটা ভিন্ন কথা।”[সহিহ বুখারী (৯৬৯) ও সুনানে তিরমিযি (৭৫৭) তে ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণিত হাদিস হিসেবে সংকলিত। হাদিসের এ ভাষাটি তিরমিযির]

‘আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা’ গ্রন্থে (২৮/৯১) এসেছে- আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, আরাফার দিনের পূর্বে যিলহজ্জ মাসের প্রথম আটদিন রোযা রাখা মুস্তাহাব...। মালেকি ও শাফেয়ি মাযহাবের আলেমগণ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন: হজ্জপালনকারীর জন্যেও এ দিনগুলোতে রোযা থাকা সুন্নত।[সমাপ্ত]

‘নিহায়াতুল মুহতাজ’ গ্রন্থে (৩/২০৭) বলেন: আরাফার দিনের পূর্বে আটদিন রোযা রাখা সুন্নত। ‘আর-রাওযা’ গ্রন্থে পরিস্কার করে দেয়া হয়েছে যে, এক্ষেত্রে হজ্জপালনকারী ও অন্যেরা সমান। পক্ষান্তরে, হজ্জপালনকারী সবল হলেও আরাফার দিন রোযা রাখা তার জন্য সুন্নত নয়; বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণে এবং দুআ করার জন্য যেন শক্তিশালী থাকার নিমিত্তে রোযা না-রাখা মুস্তাহাব।[কিছুটা পরিমার্জিত ও সমাপ্ত]

আল্লাহই ভাল জানেন

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব