আলহামদু লিল্লাহ।.
এক:
রাগের অবস্থার কিছু তালাক্ব আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে পতিত হয় না। আর কিছু তালাক্ব আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে পতিত হয়। আর কিছু তালাক্ব নিয়ে আলেমদের মাঝে মতভেদ আছে। এটি নির্ভর করবে রাগের প্রকার ও মাত্রার উপর। ইতিপূর্বে 22034 নং প্রশ্নোত্তরে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সার কথা হচ্ছে: যে রাগ ব্যক্তিকে তার অনুভূতি ও বোধশক্তি থেকে বের করে দেয়; এই রাগের অবস্থার তালাক্ব পতিত হবে না।
অনুরূপভাবে এত তীব্র রাগ যা মানুষকে তালাক্ব দেয়ার দিকে ধাবিত করে। যদি শান্ত ও বিচার-বিবেচনার পরিবেশে হত তাহলে সে ব্যক্তি তালাক্ব দিত না; এমন রাগের অবস্থার তালাক্বও একদল আলেমের নির্বাচিত মতানুসারে পতিত হবে না।
পূর্বোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে যেহেতু আপনার স্বামী প্রচণ্ড রাগের অবস্থায় তালাক্ব উচ্চারণ করেছেন; এ কারণে এই তালাক্ব পতিত হবে না।
দুই:
কোন নারীর জন্য তার স্বামীর কাছে তালাক্ব চাওয়া জায়েয নয়। যদি তালাক্ব চাওয়ার মত কোন কারণ থাকে যেমন- স্বামীর দুর্ব্যবহার তাহলে ভিন্ন কথা। দলিল হচ্ছে ছাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস; তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে নারী কাঠিন্যের শিকার হওয়া ছাড়া তার স্বামীর কাছ থেকে তালাক্ব চায় সে নারী জান্নাতের সুঘ্রাণ পাবে না।”[সুনানে আবু দাউদ (২২২৬), সুনানে তিরমিযি (১১৮৭) ও সুনানে ইবনে মাজাহ (২০৫৫), আলবানী ‘সহিহ আবু দাউদ’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
কিন্তু যদি তীব্র রাগ ও মানসিক চাপের বশঃবতী হয়ে করে থাকে তাহলে তার উচিত আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং পুনরায় এ কাজ না করা।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।