আলহামদু লিল্লাহ।.
এক:
চাকুরীজীবীসহ অন্য সবার উপরে ওয়াক্তমত নামায আদায় করা ওয়াজিব (আবশ্যকীয়)। যেহেতু আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের উপর ফরয।”[সূরা নিসা, আয়াত: ১০৩] এবং আল্লাহ্ তাআলা এই মর্মে মুমিনদের প্রশংসা করেছেন যে, তাদের কাজকর্ম তাদেরকে আল্লাহ্র আনুগত্য থেকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে না। তিনি বলেন: “এমন লোকেরা, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর যিকির থেকে, নামায কায়েম করা থেকে এবং যাকাত প্রদান করা থেকে দূরে না রাখে। তারা ভয় করে সেই দিনটিকে যে দিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ ওলটপালট (বিপর্যন্ত) হয়ে যাবে। যাতে আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের কাজের সেরা প্রতিদান দেন এবং তিনি নিজ অনুগ্রহ থেকে তাদেরকে আরো বেশী দান করেন। আল্লাহ্ যাকে চান বিনে হিসেবে জীবিকা দান করেন।”[সূরা নূর, আয়াত: ৩৭-৩৮]
তাই আপনার উপর ওয়াজিব হলো নামাযের ওয়াক্তে ঘুম থেকে জাগার ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়া এবং জাগার জন্য উপায়-উপকরণ গ্রহণ করা। যদি এমনটি ঘটে যায় যে, কোন কোন বার আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন এবং আপনার জামাতে নামায ছুটে গেছে; যদিও আপনি জাগতে সচেষ্ট ছিলেন এবং উপায়-উপকরণ গ্রহণ করেছিলেন; সেক্ষেত্রে আপনার কোন গুনাহ হবে না।
দুই:
যে ব্যক্তি কোন স্থানে সফর করে সেখানে চারদিনের বেশি সময় অবস্থান করার নিয়ত করেছে; তার ক্ষেত্রে মুকীমের হুকুম প্রযোজ্য। নামাযগুলো পূর্ণ সংখ্যায় আদায় করা তার উপর আবশ্যক। তার ক্ষেত্রে সফরের কারণে দুই ওয়াক্তের নামায একত্রিত করা জায়েয হবে না। কিন্তু দুই ওয়াক্তের নামায একত্রে আদায় করার বিধানটি কেবল সফরের জন্য খাস নয়। বরং অসুস্থ, বৃষ্টি ও কষ্ট ইত্যাদি ওজরের কারণেও সেটি জায়েয।
ইতিপূর্বে 38079 নং প্রশ্নোত্তরে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে।
অতএব, যদি আপনার প্রবল ধারণা হয় যে, আপনি যোহরের নামাযের জন্য জাগতে পারবেন না এবং সেটি আপনার জন্য কষ্টকর হবে; সেক্ষেত্রে আপনি যোহরের নামাযকে বিলম্বে আসরের সাথে একত্রিত করলে ইনশাআল্লাহ্ কোন গুনাহ হবে না। তবে সেটি কেবল কষ্টকর অবস্থায় হতে হবে এবং রেগুলার কোন বিষয় হতে পারবে না; চাই কষ্টকর হোক বা না-হোক।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।