আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
কাবার চর্তুপার্শ্বে তাওয়াফের বহু প্রকার রয়েছে। সে প্রকারগুলো কি কি? প্রত্যেক প্রকারের হুকুম কি?
আলহামদু লিল্লাহ।.
কাবার চর্তুপার্শ্বে তাওয়াফের প্রকার অনেক:
যেমন হজ্জের তাওয়াফে ইফাযা। এটাকে তাওয়াফে যিয়ারাও বলা হয়। এটি পালিত হয় আরাফা মাঠে অবস্থান আদায় করার পর ঈদুল আযহার দিনে কিংবা তার পরবর্তীতে। এটি হজ্জের অন্যতম একটি রুকন।
এছাড়া রয়েছে: হজ্জের তাওয়াফে কুদুম। হজ্জ ও উমরা একত্রে আদায়ের নিয়তে ইহরামকারী যখন কাবাতে পৌঁছেন তখন তিনি এটি আদায় করেন। আলেমদের মতভেদ অনুযায়ী এটি হজ্জের একটি ওয়াজিব আমল কিংবা সুন্নত আমল।
এছাড়া রয়েছে: উমরার তাওয়াফ। এটি উমরার একটি রুকন। এই তাওয়াফ ছাড়া উমরা শুদ্ধ হয় না।
এছাড়া রয়েছে: বিদায়ী তাওয়াফ। এটি হজ্জের কার্যাবলী শেষ করার পর যখন মক্কা ছেড়ে যাওয়ার সংকল্প করা হয় তখন পালন করা হয়। আলেমদের দুটো অভিমতের মধ্যে সঠিক অভিমত অনুযায়ী এটি হায়েযগ্রস্ত ও নিফাসগ্রস্ত নারী ছাড়া প্রত্যেক হাজীর উপর ওয়াজিব। যে ব্যক্তি এই তাওয়াফটি ছেড়ে দিয়েছেন তার উপর এমন একটি পশু জবাই করা ওয়াজিব যা দিয়ে কোরবানী করা বৈধ হয়।
এছাড়া রয়েছে: যে ব্যক্তি তাওয়াফ করার মানত করেছেন তার মানত পূরণকরণের তাওয়াফ। মানতের কারণে এটি ওয়াজিব।
এছাড়া রয়েছে: নফল তাওয়াফ।
উল্লেখিত তাওয়াফগুলোর প্রত্যেকটি সাত চক্কর। তাওয়াফের পরে তাওয়াফকারী সম্ভব হলে মাকামে ইবাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামায পড়বেন; সেখানে সম্ভব না হলে মসজিদের অন্য কোন স্থানে নামায পড়বেন।
আল্লাহই তাওফিকের মালিক। আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবারপরিজন ও তাঁর সাহাবীবর্গের প্রতি আল্লাহ্র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।[সমাপ্ত]
গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি।
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায, শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, শাইখ আব্দুল্লাহ্ বিন গাদইয়ান।
[গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র (১১/২২৩, ২২৪)]