আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আমরা ৩০ ই শাবানের রাত্রিতে চাঁদ দেখার জন্য বের হই। কিন্তু আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদ দেখা যাইনি। এমতাবস্থায় আমরা কি ৩০ শে শাবান রোজা রাখব? যেহেতু এটি সন্দেহপূর্ণ দিন?
আলহামদু লিল্লাহ।.
এ দিনটিকে সন্দেহের দিন বলা হয় (যেহেতু এ দিনটি নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়- এটি কি শাবানের শেষ দিন; নাকি রমজানের প্রথম দিন)। এ দিনে রোজা রাখা হারাম। দলিল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখবে এবং চাঁদ দেখে রোজা ছাড়বে। আর যদি তোমাদের দৃষ্টি থেকে চাঁদ লুক্কায়িত থাকে তাহলে শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করবে।”[সহিহ বুখারি (১৯০৯)]
আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ) বলেন: যে ব্যক্তি সন্দেহের দিন রোজা রাখবে সে আবুল কাসেম (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপনাম) এর অবাধ্য হল।[হাদিসটি তিরমিযি বর্ণনা করেছেন এবং আলবানি সহিহ তিরমিযি গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন (৫৫৩)]
ইবনে হাজার (রহঃ) বলেন:
এ বাণীটি দিয়ে সন্দেহের দিন রোজা রাখা হারাম হওয়ার পক্ষে দলিল দেয়া হয়। কারণ সাহাবী নিজের মন থেকে এমন বক্তব্য দিতে পারেন না। বরং এটি রাসূলের হাদিসের পর্যায়ভুক্ত।
সন্দেহের দিন রোজারাখার ব্যাপারে স্থায়ী কমিটির আলেমগণ বলেন:
“হাদিসের দলিলের ভিত্তিতে এই দিন রোজা রাখা হারাম।” [ফাতাওয়াল লাজনা (১০/১১৭)]
শাইখ মুহাম্মদ বিন উছাইমীন সন্দেহের দিন রোজা রাখার ব্যাপারে বিভিন্ন অভিমত উল্লেখ করার পর বলেন: “এ অভিমতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিশুদ্ধ মত হচ্ছে- এ দিন রোজা রাখা হারাম। কিন্তু খলিফার নিকট যদি এই দিন রোজা রাখা ফরজ সাব্যস্ত হয় এবং তিনি মানুষকে এই দিন রোজা রাখার নির্দেশ প্রদান করেন তাহলে তার সাথে দ্বিমত করা যাবে না। দ্বিমত না করার অর্থ হচ্ছে- রোজা পালন না-করার বিষয়টি গোপন রাখবে; প্রকাশ করবে না।[আল-শারহুল মুমতি (৬/৩১৮)]