আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।যেমনটি প্রশ্নকারী ভাই উল্লেখ করেছেন— সাধারণ দলিলপ্রমাণের ভিত্তিতে ধূমপান হারাম। এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সুনির্দিষ্ট কোন দলিল নেই। কারণ ধূমপান পরবর্তী যামানায় উদ্ভাবিত হয়েছে। তবে, শরয়ি নীতিমালা সাধারণ এবং কোন কোন দলিলে ধূমপান হারাম হওয়ার ইঙ্গিত একেবারেই সুনির্দিষ্ট। যদি আপনার পাশে কোন ধূমপায়ী থাকে এবং ধূমপান করতে চায় তাহলে আপনি তাকে কোমল ভাষায় উপদেশ দিন; আপনি বলুন: ভাই, ধূমপান করা হারাম ও অবৈধ।
আমার ধারণা আপনি যদি তাকে কোমল কথা দিয়ে উপদেশ দেন সে শুনবে; এটি পরীক্ষিত। আমাদের যেমন এ ধরণের অভিজ্ঞতা আছে; অন্যদেরও অভিজ্ঞতা আছে। যদি এরপরও তিনি ধূমপান চালিয়ে যান তাহলে আপনার কর্তব্য হবে তাকে ছেড়ে চলে যাওয়া; আল্লাহ তাআলার সে বাণীর কারণে: “কিতাবে তিনি তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে, আল্লাহর আয়াত প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে এবং তা নিয়ে বিদ্রূপ করা হচ্ছে, তখন যে পর্যন্ত তারা অন্য প্রসঙ্গে লিপ্ত না হবে তোমরা তাদের সাথে বসো না, নয়তো তোমরা তাদের মত হবে।”[সূরা নিসা, আয়াত ১৪০] তবে, পাবলিক স্থানগুলোর ক্ষেত্রে এ বিধান। আর কর্মস্থলের ক্ষেত্রে আপনি যদি তাকে নসীহত করেন কিন্তু সে না শুনে এতে করে উক্ত চাকুরীতে বহাল থাকলে আপনার গুনাহ হবে না। কারণ এক্ষেত্রে আপনি নিরুপায়; আপনি এ অবস্থাকে এড়াতে পারবেন না।