আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আমার এক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করেছে যে, সে রমযান মাসে হস্তমৈথুনে লিপ্ত হয়েছে। তার হুকুম কি? রমযান শেষ হওয়ার পর সে ঐ দিনের রোযা কাযা পালন করেছে। এর হুকুম কি?
আলহামদু লিল্লাহ।.
আপনার বন্ধুর জানা থাকা উচিত এই হস্তমৈথুনে লিপ্ত হওয়া শরিয়তে হারাম। এটি হারাম হওয়া আল্লাহ্র কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। এ সংক্রান্ত দলিল-প্রমাণ ইতিপূর্বে 329 নং প্রশ্নোত্তরে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া মানুষের প্রকৃতিগত ও যুক্তিগত দিক থেকেও এটি গর্হিত। কোন মুসলিমের জন্য এমন কর্ম সংঘটনের নিকটবর্তী হওয়াও সাজে না।
তার জেনে রাখা উচিত ব্যক্তির নিজের উপর পাপের কুপ্রভাব রয়েছে; নগদে দুনিয়াতে ও আখিরাতে; যদি সে তাওবা না করে কিংবা আল্লাহ্র রহমত তাকে আচ্ছাদন না করে। ইতিপূর্বে 23425 নং ও 8861 নং প্রশ্নোত্তরসমূহে সেসব বিষয় বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর আরও জেনে রাখা উচিত হস্তমৈথুনের অনেক ক্ষতি রয়েছে। হস্তমৈথুন শরীরকে দুর্বল করে দেয়, বান্দার সাথে তার প্রভুর দূরত্বকে জটিল করে তোলে এবং এটি মানসিক অবসাদের অন্যতম প্রধান কারণ।
আর প্রশ্নোল্লেখিত মাসয়ালার হুকুম হল: যদি সে হস্তমৈথুন করে বীর্যপাত করে থাকে তাহলে তার রোযা নষ্ট হয়ে গেছে, তাঁর উপর গুনাহ আবশ্যক হয়েছে। সে দিনের অবশিষ্টাংশ উপবাস থাকা তার উপর আবশ্যক এবং সে দিনটির রোযা কাযা পালন করা আবশ্যক।
ইতিপূর্বে 38074 নং 2571 ও নং প্রশ্নোত্তরে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।