আলহামদু লিল্লাহ।.
শাইখ মুহাম্মদ বিন ইব্রাহিমকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন:
চুলের ক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ হচ্ছে– সবগুলো চুল রেখে দেওয়া কিংবা সবগুলো চুল ফেলে দেওয়া। এমন ছিল না যে, তিনি কিছু অংশের চুল কামাই করতেন; আর কিছু অংশের চুল রেখে দিতেন।
বর্তমান যামানায় কিছু কিছু মুসলমান যা করে– মাথার কিছু অংশের চুল কামাই করে, কিছু অংশ রেখে দেয় এটি ‘কুযা’এর অন্তর্ভুক্ত, যা করতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন। এই ‘কুযা’ কয়েক প্রকার হতে পারে:
১। মাথার কিছু কিছু জায়গার চুল কামাই করে অপর কিছু কিছু জায়গা রেখে দেওয়া।
২। মাথার সাইডের চুলগুলো কামাই করে মাঝখানের চুলগুলো রেখে দেওয়া।
৩। মাথার মাঝখানের চুলগুলো কামাই করে সাইডের চুলগুলো রেখে দেওয়া।
৪। মাথার সামনের চুলগুলো কামাই করে পিছনের চুলগুলো রেখে দেওয়া।
৫। মাথার পিছনের চুলগুলো কামাই করে সামনের চুলগুলো রেখে দেওয়া।
৬। মাথার এক পার্শ্বের কিছু চুল কামাই করে বাকীগুলো রেখে দেওয়া।
সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে ইবনে উমর (রাঃ) থেকে সাব্যস্ত হাদিসে এ সবগুলো স্টাইল হারাম হওয়ার প্রমাণ রয়েছে। সে হাদিসে এসেছে যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘কুযা’ করা থেকে তথা শিশুর মাথার একাংশের চুল কামাই করে অপর অংশের চুল রেখে দিতে নিষেধ করেছেন। ইবনে উমর (রাঃ) থেকে আরও বর্ণিত আছে যে, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখলেন যে, এক শিশুর মাথার কিছু চুল কামাই করা হয়েছে, আর কিছু চুল রেখে দেওয়া হয়েছে তখন তিনি তাদেরকে এরূপ করতে বারণ করেন। তিনি বলেন: “তোমরা সম্পূর্ণ মাথা কামাই করবে, কিংবা সম্পূর্ণ মাথার চুল রেখে দিবে।” উমর (রাঃ) থেকে মারফু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, “শিঙ্গা লাগানো ব্যতীত মাথার শুধু পিছনের দিকের চুল কামাই করা অগ্নি উপাসকদের বৈশিষ্ট্য”। সুনানে আবু দাউদে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি এক বালকের দুইটি বেণী দেখে কিংবা দুইটি জুটি দেখে বললেন: এই দুইটি কামাই করে ফেল কিংবা ছাটাই করে ফেল। কেননা এটা ইহুদীদের স্টাইল।”। মারওয়াযি বলেন: আমি আবু আব্দুল্লাহ্কে (আহমাদ ইবনে হাম্বলকে) মাথার পিছনের চুল কামাই করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন: এটি অগ্নিপুজারীদের কাজ। যে ব্যক্তি যাদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করবে সে তাদেরই দলভুক্ত।