বুধবার 22 শাওয়াল 1445 - 1 মে 2024
বাংলা

যে স্বামী উদঘাটন করতে পেরেছে যে, তার স্ত্রীর পূর্বে একটি বিবাহ হয়েছে; তবে বাসরের আগেই তালাক্ব হয়ে গেছে

প্রশ্ন

বিয়ের পর আমি উদঘাটন করতে পেরেছি যে, আমার সাথে বিয়ের আগে আমার স্ত্রীর আরেকটি বিয়ে হয়েছে এবং তার তালাক্ব হয়ে গেছে। কিন্তু তার সাথে বাসর হয়নি; তবে কয়েকবার নির্জন বাস হয়েছে। আমার বিয়ের তিন সপ্তাহ পর সমস্যাগুলো শুরু হয়েছে এবং তারা তালাক্ব চাওয়ার মাধ্যমে সমস্যার নিরসন হয়েছে। আমি তাদেরকে যা যা দিয়েছি তারা কি আমাকে এর সবকিছু ফেরত দিবে?

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

যদি কোন স্ত্রীর সাথে নির্জনবাস করার পর তার সাথে বাসর করার পূর্বে তাকে তালাক্ব দিয়ে দেয়া হয় তাহলে সেই নারী তখনও কুমারী। যেভাবে কুমারীদের বিবাহ হয় তার বিবাহও সেভাবে হবে। একদল আলেম দ্ব্যর্থহীনভাবে এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

‘দুরারুল আহকাম’ গ্রন্থে (১/৩৩৬) এসেছে:

“সঠিকভাবে সম্পন্ন নির্জনবাসের পর যে নারীর তালাক্ব হয়ে গেছে সে নারীর কুমারিত্ব এখনও বলবৎ আছে কিংবা বাসর হওয়ার পূর্বে যে নারীর তালাক্ব হয়ে গেছে সে নারীকে কুমারী নারীর মত বিবাহ দেয়া হবে; এমনকি সে নারীর উপর যদি ইদ্দত পালন ওয়াজিব হয় তবুও। কেননা আসলেই সে নারী কুমারী; তার মাঝে লজ্জাবোধ বিদ্যমান।

‘আল-ফাতাওয়া আল-হিনদিয়্যা’ গ্রন্থে (১/৩০৬) এসেছে:

“আমাদের মাযহাবের আলেমগণ সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়া নির্জনবাসকে কিছু কিছু বিধানের ক্ষেত্রে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত গণ্য করেন; আর কিছু বিধানের ক্ষেত্রে করেন না...। কুমারিত্ব দূর হওয়ার ক্ষেত্রে নির্জনবাসকে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত গণ্য করা হয় না। তাই যদি কোন স্বামী কুমারী স্ত্রীর সাথে নির্জনবাসের পর তাকে তালাক্ব দিয়ে দেয় তাহলে সেই নারীকে কুমারী মেয়েদের মত বিয়ে দেয়া হবে।”[সমাপ্ত]

অনুরূপ কথা রয়েছে আস-সাওয়ি-এর লিখিত ‘বুলগাতুস সালিক’ গ্রন্থে (৪/৩৫৪) ও ‘আল-ইনসাফ’ গ্রন্থে (৮/২৮৪)।

যদি আপনাদের মাঝে বিবাদের কারণ এই হয় যে, আপনি মনে করছেন যে, বিয়ের ক্ষেত্রে তারা আপনাকে ধোঁকা দিয়েছে; তাহলে শরিয়া কোর্টের শরণাপন্ন হতে পারেন যাতে করে তারা মামলাটি নিরসন করতে পারে।

দুই:

যদি স্বামীর পক্ষ থেকে তালাক্ব চাওয়ার মত কোন কসুর ঘটা ব্যতীত স্ত্রী তালাক্ব চায় তাহলে স্বামী তাকে তালাক্ব দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন এবং স্ত্রী তাকে মোহরানার অর্থ ফেরত দেয়ার শর্তে তার সাথে খুলা করতে পারেন।

আরও জানতে দেখুন: 26247 নং প্রশ্নোত্তর।

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

সংশ্লিষ্ট প্রশ্নোত্তরসমূহ