আলহামদু লিল্লাহ।.
ইতিপূর্বে 99353 নং প্রশ্নোত্তরে স্বামীর উপর তার মুসলিম স্ত্রীর সদাকাতুল ফিতর বা ফিতরা পরিশোধ করার দায়িত্ব রয়েছে কিনা এ বিষয়ে আলেমদের মতভেদ আলোচিত হয়েছে।
আর স্ত্রী আহলে-কিতাব (খ্রিস্টান ও ইহুদী) হলে স্বামীর উপর তার ফিতরা পরিশোধ করা আবশ্যক নয়। কেননা ফিতরা শুধুমাত্র মুসলমানদের উপর ফরয।
এ কথার প্রমাণ রয়েছে ইবনে উমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন:“রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক স্বাধীন-ক্রীতদাস, নর-নারী, ছোট-বড় মুসলমানের উপর যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা ফরজ করেছেন: এক সা’ পরিমাণ খেজুর কিংবা যব।”[সহিহ বুখারী (১৫০৩)ও সহিহ মুসলিম (৯৮৪)]
হাদিসের উক্তি: “মুসলমানের উপর” প্রমাণ করছে যে, সদাকাতুল ফিতর বা ফিতরা ফরয হওয়ার জন্য মুসলমান হওয়া শর্ত। কাফেরের উপর ফিতরা ফরয নয়। এটি সর্বসম্মত অভিমত।[সুবুলুস সালাম (১/৫৩৮) থেকে সমাপ্ত]
‘মুগনিল মুহতাজ’ নামক গ্রন্থে (২/১১২) এসেছে যে, “কোন কাফেরের উপর ফিতরা নেই। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মুসলমানদের উপর” এবং এ মর্মে রয়েছে ইজমা রয়েছে। এটি মাওয়ারদির বক্তব্য। কেননা ফিতরা হচ্ছে পবিত্রকারী; কাফেরেরা তো এর আওতায় পড়ে না।”[সমাপ্ত]
হাফেয ইবনে হাজার ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে (৩/৩৬৯) বলেন:
তাঁর উক্তি: “নর-নারী” থেকে অবলীলায় বুঝা যাচ্ছে যে, ফিতরা নারীর উপর ফরয; চাই নারীর স্বামী থাকুক বা না থাকুক...। এরপর তিনি বলেন: আলেমগণ একমত হয়েছেন যে, কাফের স্ত্রীর ফিতরা পরিশোধ করা মুসলমানের উপর ফরয নয়।” [সমাপ্ত]
আল্লাহ্ই ভাল জানেন।