আলহামদু লিল্লাহ।.
যে ব্যক্তি নামাযে দাঁড়িয়েছে তার জন্য মুখে যে খাবার ও গন্ধ লেগে আছে সেটি দূরীভুত করা মুস্তাহাব। এ কারণে নামাযে দাঁড়ানোর সময় মিসওয়াক করার বিধান দেয়া হয়েছে।
যদি কেউ সেটি না করে তাহলে তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না; তার নামায সহিহ।
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভেড়ার হাড্ডি থেকে গোশত খেতে দেখেছি। এরপর তিনি নামায পড়েছেন; কিন্তু কুলি করেননি এবং পানি স্পর্শ করেননি।”[মুসনাদে আহমাদ (২৫৪১), আলবানী ‘সিলসিলা সাহিহা’ গ্রন্থে (৩০২৮) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুধ পান করেন। এরপর কুলি না করে ও ওযু না করে নামায পড়েন।[সুনানে আবু দাউদ (১৯৭), আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন]
আউনুল মাবুদ গ্রন্থে বলেছেন:
“এ হাদিসে দলিল রয়েছে যে, দুধ ও এ জাতীয় অন্য যে সব জিনিসে চর্বি রয়েছে সেগুলো খেয়ে ওযু করা জরুরী নয়। বরং এখতিয়ারী বিষয়।”[সমাপ্ত]
শাইখ বিন বায (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:
“যখন নামাযের ওয়াক্ত হয় তখন আমার ওযু আছে। কিন্তু আমি হয়তো কোন কিছু খেয়েছি, যার অবশিষ্টাংশ আমার দাঁতে লেগে আছে। এমতাবস্থায় এগুলো দূর করার জন্য কুলি করা কি আমার উপর আবশ্যকীয়; নাকি আবশ্যকীয় নয়?
তিনি জবাব দেন: খাবারের অবশিষ্টাংশ দূর করার জন্য কুলি করা মুস্তাহাব। মুখে খাবারের কোন অংশ অবশিষ্ট থাকলে সেটা নামাযের হুকুমে কোন প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু গ্রহণকৃত খাবারটি যদি হয় উটের গোশত তাহলে নামাযের আগে অবশ্যই ওযু করতে হবে। কেননা উটের গোশত ওযু ভঙ্গকারী।”[সমাপ্ত]
[মাজমুউ ফাতাওয়া বিন বায (২৯/৫২)]
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।